Take a fresh look at your lifestyle.

মিতু হত্যায় এসপি বাবুলের ৩ লাখ টাকা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার জন্য অন্য আসামিদের তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন মিতুরই স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, এই তিন লাখ টাকা বাবুল আক্তার তার ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুলের মাধ্যমে মিতু হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া গ্রুপের নেতা মুসার আত্মীয় কাজী আল মামুনের কাছে পাঠান। এরপর কাজী আল মামুন তা মুসা ও মুসার স্ত্রীর কাছে পাঠান।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামিদের সঙ্গে বাবুল আক্তারের আর্থিক চুক্তি সাইফুল ও মামুন নামে দুই ব্যক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়।
বুধবার (১২ মে) চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কয়েক দফায় আসামিদের জন্য বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। সাইফুল ও মামুন আদালতের জবানবন্দিতে বাবুল আক্তারের হয়ে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং তা আমরা ডকুমেন্টসের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি। তিনি বলেন, মিতুকে হত্যার পর কমিটমেন্ট অনুযায়ী টাকা আসামিদের দিয়েছেন বাবুল আক্তার। আগের মামলায় বাবুল বাদী থাকার কারণে নতুন মামলা করে বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পিবিআইয়ের কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মিতু হত্যাকান্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে। সব বিষয়ে বিশ্লেষণ করে তদন্তে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, গায়েত্রীর সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পর্কের কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। পরকীয়া সম্পর্কের কারণে বাবুল আক্তারের সঙ্গে মিতুর পারিবারিক কলহ চলছিল। একপর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। এর পাশাপাশি অন্য কিছু আছে কি না তা তদন্ত করার পর বলতে পারব।
স্ত্রী মিততুক হত্যার অভিযোগে স্বামী বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.