নিজস্ব প্রতিবেদক
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার আদালতে জবানবন্দি দেননি। পাঁচ দিনের রিমান্ড আজ (সোমবার) শেষে আদালতে হাজির করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজী সাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বাবুলকে আজ আদালতে নেওয়া হলেও তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। চার ঘণ্টারও অধিক সময় তিনি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের খাসকামরায় ছিলেন। কিন্তু জবানবন্দি দেননি। পরে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠান।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বাবুল চার ঘণ্টা ভেতরে ছিলেন। তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন কিনা, তা আমি জানি না। আজ নতুন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। তিনি যদি জবানবন্দি দিয়ে না থাকেন, তাহলে আমরা তার জামিনের আবেদন করব।
এর আগে বুধবার (১২ মে) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় খুন হন মাহমুদ খাতুন মিতু। ঘটনার পর মিতুর স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর ভিডিও ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
চলতি মে মাসে বাবুল আক্তারের ব্যবসায়িক সহযোগী সাইফুল ও মামুন নামে দুজন আদালতের জবানবন্দিতে জানান, বাবুল আক্তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। এরপর ১১ মে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে মিতু হত্যার ঘটনায় তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। এরপর বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
![](https://kapotakkho.com/wp-content/uploads/2021/09/Kapottakha-1-150x150.jpg)