Take a fresh look at your lifestyle.

সাবেক এমপি যখন খুনের পরিকল্পনাকারী!

0

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবীতে জমি নিয়ে বিরোধে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সম্পৃক্ততা পেয়েছে র‌্যাব। হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে বসেই। বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১৬ মে দুপুরে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন রাতে হত্যাকান্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, হত্যার ঘটনার ৪-৫ দিন আগে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে মোহাম্মদ তাহের ও সুমন এই হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় সুমনকে। সুমনসহ বেশ কয়েকজন কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনাটি শেষ হয়। ঘটনা শেষে সুমনসহ বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় সুমন এক নম্বর আসামি আউয়লকে মোবাইলে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সুমন, বাবুসহ কয়েকজন একটা মিটিং করে। এরপর ঘটনার দিন তারা সাহিনুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। এসময় সাহিনুদ্দিন তার সন্তান মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যায়। মীমাংসার কথা বলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী সুমন, মানিক, হাসান, ইকবালসহ ১০-১২ জন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

র‌্যাব জানায়, এম এ আউয়াল একজন জমি ব্যবসায়ী। তার ছত্রছায়ায় সুমন জমি দখল, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করত এবং প্রতিমাসে মাসোহারা বাবদ ১০-১২ হাজার টাকা নিত। তাছাড়া বিভিন্ন কাজেও টাকা নিত। জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই এই হত্যা সংঘটিত হয়। এক বিঘার বেশি পরিমাণ জমি কেনার চেষ্টার করছিল সাবেক এমপি আউয়ালের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাভিলি প্রপার্টি’। নিহত সাহিনুদ্দিন ও তার স্বজনরা এই জমির মালিক। কম টাকায় জমি কিনতে না পারায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানায় র‌্যাব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.