Take a fresh look at your lifestyle.

দ্বিতীয়-তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মামুনুল যা শোনালেন

0

নিজস্ব প্রতিবেদক
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক স্বীকার করেছেন তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ে কোনো কাজি পড়াননি। দুই বিয়ের কোনোটাতেই নেই কাবিননামা। তাই ছিল না কোনো দেনমোহর। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের হেফাজতে তিন মামলায় ৯ দিনের রিমান্ডে এমন সব তথ্যই দিচ্ছেন এই মাওলানা।

ধর্ষণ মামলার বাদীর বিষয়ে মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, বাদীর স্বামীর সঙ্গে আগে থেকেই তার পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তাদের পরিচয়। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে বাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। বাদীকে বিয়ের সময় ছিল না কাজি ছিল না, কাবিননামা বা দেনমোহর। একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন, বিয়ের সময় শর্ত দেওয়া ছিল, তাদের কোনো সন্তান নেওয়া যাবে না। ভাগিদারও হওয়া যাবে না সম্পদের। তবে মামুনুল স্বীকার করেছেন, ‘কাবিন’ ও ‘দেনমোহর’ ছাড়া মেলামেশা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

প্রথম দফায় মামুনুল হককে সোনারগাঁ থানায় কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্না বেগমের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম।

পুলিশ সুপার বলেন, মামুনুল হকের দেওয়া তথ্য পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে। গ্রেফতারের পর তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে বিয়ে সংক্রান্ত যেমন তথ্য দিয়েছিলেন, আমাদের কাছেও তেমন তথ্য দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রিমান্ড শেষে প্রেস বিফ্রিং করে যাবতীয় তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে। মামুনুল হক পুলিশের কাছে অনেক তথ্য দিলেও তিনি এখন পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। মামুনুল ওই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি করেন। পরে ওই নারী মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.