Take a fresh look at your lifestyle.

এবার শিথিল লকডাউন

0

দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল করবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কিছু শর্ত যোগ ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ (রোববার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলাসহ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকান খুলে দেওয়া হবে। তবে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২৩ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে লকডাউন আরও সাতদিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার একথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা, এরকম কিছুই বলা যাবে না। সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। তিনি আরও বলেছিলন, আমরা অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ চালিয়ে আসছি। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।

মার্চের শেষভাগে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে আরও দুদিন বাড়ানো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে আরও তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময়ে বিধিনিষেধের শর্তেও নানান পরিবর্তন আনা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ (রোববার) মধ্যরাতে।

লকডাউনের মধ্যে যেসব শর্ত বলবৎ থাকছে :

১. দোকানপাট/শপিংমলসমূহ পূর্বের ন্যায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সকল দোকানপাট-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট, শপিংমল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

২. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

৪. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাসমূহে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.