‘সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আজ (রবিবার) বিকেলে মুক্তি পেয়েছেন। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব। এসময় তার মুক্তির ব্যাপারে সাংবাদিকসহ যারা তার পাশে ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
বেলা তিনটার দিকে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষে সোয়া ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হন রোজিনা ইসলাম।
এরআগে, পাঁচ হাজার টাকার বেলবন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। আজ রবিবার (২৩ মে) সকালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। শর্তানুযায়ী, আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।
বিচারক জামিন আদেশে বলেন, ‘৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। এছাড়া তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ও সহনশীল আচরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে তাৎক্ষণিক আদেশ না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ এবং রোজিনা ইসলামের পক্ষে প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও এহসানুল হক সমাজীসহ কয়েকজন আইনজীবী অংশ নেন। এর আগে মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম রোজিনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।