Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে শারদীয় দুর্গোৎসবে বেড়েছে মণ্ডপ, ৬৯৮টিতে  প্রস্তুতি

সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপুজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব রকমের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

0

প্রতিবেদক:  এ বছর যশোরে শারদীয় দুর্গোৎসবে ২৫টি মন্ডপ বেড়েছে।   জেলায়  মোট ৬৯৮টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর যশোর জেলায় ৬৯৮টি মন্ডপে দুর্গাপুজা উদযাপন হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৫টি, ঝিকরগাছায় ৫৫টি, শার্শায় ২৯টি, চৌগাছায় ৪৮টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ১০৩টি, অভয়নগরে ১২৬টি ও বাঘারপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপ রয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোর জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির জেলা। এই জেলায় কোন উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ অপ্রতিকর ঘটনা ঘটাতে পারবে না। উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে দূর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব রকমের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পূজা মন্ডপে অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ বিবেচনায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম কাজ করবে। এছাড়া মন্দিরের স্থানীয় কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরা কমিটির গাইড লাইন মেনেই উৎসব পরিচালনা করবে।

তিনি আরো বলেন, করোনা কাল আমাদের স্বাভাবিক জীবযাপন অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে। করোনায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়লেও, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিটি মন্ডপে পূজা অর্চনা করতে হবে। সরকার এবার স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আলাদা কোন নির্দেশনা এখন পর্যন্ত না দিলেও, প্রতিটি মন্ডপে করোনার সকল স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রতিটি মন্ডপের কমিটিকেই কাজ করতে হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের  সভাপতি অসীম কুন্ডু বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উৎসবটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো এবারও প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর পৌর সভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম, র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল সমাদ্দার, বিষ্ণু সাহা, সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, চৌগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মিশ্র জয় প্রমুখ। এ ছাড়া যশোরের আট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.