Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে ১৯টি অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা

কঠোর অবস্থানে স্বাস্থ্যবিভাগ

0

প্রতিবেদক: যশোরে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে স্বাস্থ্যবিভাগ। নানা অনিয়মের অভিযোগে যশোরের তিনটি উপজেলার ১৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। একই সাথে লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকায় ৫৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলগালা হওয়া ১৯টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হলো– যশোরের শার্শা উপজেলার রজনী ক্লিনিক, পল্লী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জোহরা ক্লিনিক, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা-মণি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উপলক্ষ ক্লিনিক। ঝিকরগাছার বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সায়রা সার্জিক্যাল, আনিকা ক্লিনিক, ফেমাস মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, এসএস ক্লিনিক, আয়শা ক্লিনিক, শাপলা ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক, সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চৌগাছা উপজেলার মায়ের দোয়া প্রাইভেট ক্লিনিক, মধুমতি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন সাংবাদিকদের জানান, ২৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত জেলার তিন উপজেলার ৫৪টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে যায়নি। নতুন করে ত্রুটিমুক্ত আবেদন করার জন্য তাদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ ও পুরনো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলার ৫৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের আবেদন করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিককে আল্টিমেটাম দিয়ে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলায় ২১টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২১টি ও চৌগাছা উপজেলায় ১২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সম্প্রতি জেলার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। পরিদর্শনকালে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নানা অনিয়ম দেখতে পান। ওই সব প্রতিষ্ঠানে রোগীর অস্ত্রপাচারের সময় অজ্ঞানের চিকিৎসক থাকেন না। নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট নেই। এ ছাড়া নিম্নমানের অস্ত্রপাচার কক্ষ, প্যাথলজি বিভাগে নোংরা পরিবেশ ছাড়াও মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়, অনুমোদনের চেয়ে অতিরিক্ত বেড ব্যবহার ও অপচিকিৎসা করা হয়। যে কারণে সিভিল সার্জনের নির্দেশে সেগুলো সিলগালা করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.