Take a fresh look at your lifestyle.

‘এইড্স রোগীদের চিকিৎসায় যশোরে স্থাপিত হচ্ছে এআরটি সেন্টার’

0

প্রতিবেদক: এইচআইভি ও এইড্স রোগীদের চিকিৎসায় যশোরে এন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এটি স্থাপিত হলে এইচআইভি ও এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর খুলনায় ছুটতে হবে না। যশোরেই তাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হবে। বুধবার এইচআইভি/এইড্স বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এ তথ্য জানান। বিভিন্ন শ্রেণির স্টেক হোল্ডারদেরকে নিয়ে লাইট হাউস যশোর সাব-ডিআইসি এইচআইভি/এইড্স বিষয়ক এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।
যশোর জেলার ঝুকিপূর্ণ পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাসকরণের যশোর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সভাপতিত্বে সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের সাব-ডিআইসি ইনচার্জ মিলন মন্ডল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ জনগনের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বসবাস করেন প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করলে এইচআইভি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, এইচআইভি/এইড্স আক্রান্তদের একটি বড় অংশ জানে না সে কিভাবে সংক্রমিত হলো। তাই সব শ্রেণির মানুষের মাঝেই সচেতনতা দরকার। যশোরে এখনও এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনো সেন্টার নেই। এ জন্য রোগীদের খুলনায় পাঠাতে হয়। তবে খুব শিগগিরই যশোরে এইচআইভি ও এইড্স রোগীদের চিকিৎসায় এন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এটি স্থাপিত হলে এইচআইভি ও এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর খুলনায় ছুটতে হবে না। যশোরেই তাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হবে। এছাড়া চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি স্ক্রিনিং সেন্টার করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় জানানো হয়, যশোরে এখন পর্যন্ত ১২২ জন এইচআইভি পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন এইডস রোগী মারা গেছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যায়। তখন আবার তাদের সন্ধান করে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন, সমাজের কথা’র বার্তা সম্পাদক মিলন রহমান, এনজিও প্রতিনিধি আবিদুর রহমান, শাহজাহান নান্নু, অ্যাডভোকেট সাদেকা খাতুন বিল্লু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ হোসেন নয়ন, এসআই খান সাহাবুল রহমান, ইমাম রমজান আলী লিটন প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.