Take a fresh look at your lifestyle.

৮ দশকের আলোকবর্তিকা সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ

0

প্রতীক চৌধুরী:

সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়। সরকারি এমএম কলেজ নামেই বেশি পরিচিত। দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ এটি। ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থীর প্রিয় এই পাঠশালার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। উচ্চ শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অঞ্চলের জ্ঞানপিপাসু মানুষের আলোকবর্তিকা। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠে সংকটও কম নয়। সংকটের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই ৮০ বছরের বাতিঘরে পরিণত হয়েছে কলেজটি।

যাত্রা শুরু যেভাবে:
১৯৪১-৪২ শিক্ষাবর্ষে ১৪২জন ছাত্র ও ৪জন ছাত্রী নিয়ে এ বিদ্যাপীঠের পথচলা শুরু। সূচনা লগ্নে কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান করা হত। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য তখন বৃহত্তর যশোরে কোন ডিগ্রি কলেজ ছিল না। এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের কলকাতা, ঢাকা ও রাজশাহীতে যেতে হত। ফলে এ এলাকার অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এ কলেজকে ¯œাতক পর্যায়ে উন্নীত করা। এমনই এক ক্ষণ ১৯৫৬ সালের ১০ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন খড়কীর পীর শাহ সুফি মৌলানা মুহাম্মদ আবুল খায়ের (রহ:) এর দ্বিতীয় পুত্র আব্দুল হাই। তাঁর সময়ে কলেজটিতে প্রথম বিকম এবং বিএসসি পাস কোর্স চালু হয়। এসময় উচ্চ শিক্ষা বিকাশে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। কলেজের পরিধি বৃদ্ধি ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১৯৫৯সালের দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমএ রুহুল কুদ্দুস এর সহযোগিতায় কলেজটিকে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খড়কীতে স্থানান্তর করা হয়। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্ন্তভুক্ত হয়। এসময় প্রশস্থ পরিবেশের জমি সংগ্রহের জন্য খড়কীর পীর সাহেব সুফি মৌলানা আবুল খায়ের (রহ:) ও হাজী মোরশেদ আলী বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেন। মুনসী নাছিম উদ্দীন, আব্দুল লতিফ, মহাতাব বিশ্বাস, মোহাম্মদ আলী, জবুর আলী জোর্য়াদ্দার, দলিল উদ্দীন, শরীফ শামছুর রহমান, ইমান আলী, আব্দুস সোবাহান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের দানকৃত জমির উপর নির্মিত হয় কলেজ ভবন। ১৯৬০ সালে নবনির্মিত এ কলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম রুহুল কুদ্দুস।

উচ্চ শিক্ষার প্রসার:
উচ্চ শিক্ষা প্রসারে এ কলেজকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে ১৯৬২ সালে অর্থনীতি, ভ‚গোল ও বাংলা বিষয়ে প্রথম অনার্স কোর্স চালু হয়। ১৯৬৮সালে কলেজকে জাতীয়করণ (প্রাদেশিকরণ) করা হয়। ১৯৯১-১৯৯২ শিক্ষাবর্ষে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, উদ্ভিদ বিদ্যা, ব্যবস্থাপনা ও হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। ১৯৯৩-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫-১৯৯৬শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। কলেজটিতে অবকাঠামোর তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ১৯৯৭ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কোর্স তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিভাবকদের প্রবল আগ্রহের ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ আবার ২০০৮সাল থেকে এ কোর্স চালু করা হয়েছে। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে মার্কেটিং ও ফিন্যান্স বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কলেজেটিতে ১৯টি বিষয়ে অনার্স কোর্স, ১৭টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স, উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি পাস, মাস্টার্স প্রিলিমিনারী মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

আলোকবর্তিকা:
৮০ বছরের পথচলায় অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী আলোকিত মানুষ গড়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেছেন। তারা বিভিন্ন সেক্টরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। অনেকেই নিজ নিজ কর্মগুণে মানুষের মন জয় করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো, সাহিত্যিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, এমএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এসএম মনিরুজ্জামান, সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম, সাবেক ভিসি আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা থাকলেও পড়াশুনার গুণগতমানের দিক থেকে অক্ষুণœ রেখেছে নিজের অবস্থান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় বারবার ফলাফলে শীর্ষ স্থান অধিকারী। এছাড়াও যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে ও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন যারা:
১৯৪১ সাল থেকে বর্তমানে ৩৬জন অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন ধীরেন্দ্র নাথ (ডিএন) রায়। আর বর্তমানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর আবু তালেব মিয়া। বাকী ৩৪জন প্রাক্তন অধ্যক্ষ হলেন- ড. এসি বোস, কেপি মিত্র, ভোলানাথ হালদার, এ আর জোয়ার্দার, আবদুল ওয়াদুদ, সৈয়দ আহমেদ আলী, মহম্মদ আবদুল হাই, ফজলুর রহমান, শামসুল করিম, নূরুজ্জামান, আবদার রশীদ, আনোয়ার উল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মহম্মদ আবদুল হাই, ড. মো. তামিজুল হক, প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফ, প্রফেসর মোহাম্মদ শরীফ হোসেন, প্রফেসর মীর মনিরুজ্জামান, প্রফেসর কাজী মু. কামরুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ আফসার আলী, প্রফেসর মো. মজিবর রহমান ভুঁইয়া, প্রফেসর আবদুর রহমান, প্রফেসর প্রভাত কুমার দাস, প্রফেসর আহমদ আলী সরদার, প্রফেসর একেএম মজিবুল হক, প্রফেসর মো. ইউসুফ আলী, প্রফেসর মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, প্রফেসর আবু সাঈদ মুহাম্মদ রফি উদ্দিন, প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর শেখ আবুল হোসেন, প্রফেসর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর এসএম ইবাদুল হক, প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস, প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান।

প্রাক্তন অধ্যক্ষের স্মৃতিতে যেমন ছিল কলেজ:
প্রফেসর মোহাম্মদ আফসার আলী অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯৫ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ১৯৯৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার সময় ঠিকমত ক্লাস হতো। শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাসে আসতেন। তবে সেশনজট ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকমত পরীক্ষা নিতো না। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে আসে না। শিক্ষরাও ঠিকমত ক্লাস আসেন না। ত্রিশ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। নিয়মিত আসলে ক্যাম্পাস গিজগিজ করার কথা। কিন্তু ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়েদের দেখা যায় না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের মুখাপেক্ষি হবে, শিক্ষকদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করবে। শিক্ষকের বিকল্প নেই। কিন্তু শিক্ষকের কাছে যায় না শিক্ষার্থীরা। এতেই বোঝা যায় শিক্ষার মান কমেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে উচ্চ মাধ্যমিক কোর্স বন্ধ করা হয়েছিল। সেই সময় যশোরের সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেছিলাম। কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা দাবি করেছিল উচ্চ মাধ্যমিক রাখা হোক। আমি বোঝাতে সহ্মম হয়েছিলাম উচ্চ মাধ্যমিকের বিকল্প কলেজ আছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য এই কলেজে অনার্স কোর্স চালু দরকার।
তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো, আমরা খুব বেশি গ্রাজুয়েট তৈরি করছি। কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। আবার যারা চাকরি পাচ্ছে, তারা টাকার বিনিময়ে। ফলে লেখাপড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস। কলেজের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র নারী অধ্যক্ষ ছিলেন। স্মৃতিচারণে নমিতা রানী বিশ্বাস বলেন, আমি কলেজের ছাত্রী ছিলাম। তার শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছি। এট তে আমার খুব গর্ব হয়। বর্তমানে পাসের হার বাড়লেও কমেছে শিক্ষার মান। খুলনা বিভাগের সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি করেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও নেই স্বতন্ত্র লাইব্রেরি ভবন। আমার দুইটা ইচ্ছা ছিল। কিন্তু করতে পারি নাই। একটি হলো অডিটোরিয়াম কাম লাইব্রেরি ভবন। ্আরেকটি হলো- উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদ ভবন। উদ্যোগ নিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার মেয়াদে বাস্তবায়ন করতে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন, কলেজের সেই সামাজিক ঐতিহ্য এখনও আছে। কিন্তু মান ধারা যায়নি। এক সময় এমএম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাইভা দিতে গেলেই বলতো এমএম কলেজের প্রোডাক্ট। অথ্যাৎ শিক্ষার্থীদের মেধায় কলেজের সুনাম বেেিয় আসতো। তখন তো মেধাবীরাই এই কলেজে পড়তো। ঢাকায় যাওয়ার প্রবণতা কম ছিল।

৪০ বছর অচল ছাত্র সংসদ:
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। সর্বশেষ ১৯৮১ সালে কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর কলেজে আর কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রসংসদ সচল না থাকায় সুস্থ ধারার রাজনীতি ও জ্ঞান চর্চর সুযোগ কমেছে।
১৯৮১ সালের ছাত্রসংসদের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু বলেন, সহশিক্ষা কার্যক্রম না থাকায় শিক্ষার মান কমেছে। এটা সরকারও অনুধাবন করছে। শিক্ষা পদ্ধতির ত্রটির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের জটিলতায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ আছে। অন্যান্য কলেজের চেয়ে এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র ভিন্ন। চারটি পদ ছাড়া বাকী পদগুলো শ্রেণী ও বিভাগ অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়। বর্তমানে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স অনেকগুলো। ফলে শ্রেণী ও বিভাগ প্রতিনিধি নির্বাচনে জটিলতা আছে। গঠনতন্ত্র সংশোধন ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৪ সালে এমএম কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস হারুন অর রশিদ বলেন, আগে কলেজ পরিচালিত হতো অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দ্বারা। বর্তমানে কলেজ পরিচালিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও নৈতিক শিক্ষার চিত্র কমেছে। শিক্ষকদের দ্বারা কলেজ পরিচালিত হলে সুষ্ঠু ধারা সংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়ে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটতো। কোন ছেলে মেয়ের বিপদ হলে একে অপরের পাশে দাঁড়াতো। বর্তমানে সেই চিত্র নেই।
১৯৬০ সালের ছাত্র সংসদের জিএস আমিরুল ইসলাম রন্টু বলেন, আমাদের সময় যশোর অঞ্চলের একমাত্র উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাইকেল মধুসূদন কলেজ। তখন ডিগ্রি কোর্স চালু ছিল। কলেজের মোট ছাত্র-ছাত্রী ছিল দুই হাজার। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা হতো। সুস্থধারার রাজনীতি চর্চা ছিল। ছাত্র সংগঠনগুলোর লেজুড়বৃত্তি ছিল না। ছাত্র সংসদ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আদায় ও সৃজনশীল চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতো। বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির সঠিক চর্চা নেই। এজন্য রাজনীতিতে চেতনার সংকট দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি দাওয়া আদায় ও জ্ঞান চর্চার জন্য ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।

সহশিক্ষার সুযোগ:
পড়াশুনার পাশাপাশি বিনোদন সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া চর্চার সুযোগ রয়েছে। কলেজের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক সাফল্য রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্যাডেট কোর বিমান ও সেনা শাখা চালু আছে। এ শাখার সদস্যরা ক্যাডেট হিসেবে নিয়মিত সামরিক প্রশিক্ষণের সুযোগসহ জাতীয় পর্যায়ে ভ‚মিকা রাখছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজে রেড ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউট গড়ে তুলেছে। তাঁরা আর্ত মানবতার সেবাই সর্বদায় নিয়োজিত। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশেও কলেজের শিক্ষার্থীরা এক ধাপ এগিয়ে। সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী, উচ্চারণ, বিবর্তনের কর্মীরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় নিয়োজিত আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.