Take a fresh look at your lifestyle.

মহালয়া আজ : দেবী দুর্গার আবাহান

0

সংবাদ কক্ষ: বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ মহালয়ার মধ্যে দিয়ে। বুধবার ভোরে চণ্ডীপাঠে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। শুরু হবে দেবীপক্ষ। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এদিন কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেবী দুর্গা। মণ্ডপে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু এদিন থেকে।
এ দিন অমাবস্যার শুরু এবং পরবর্তী পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দেবীপক্ষ। মহালয়ার পাঁচদিন পর ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে শুরু হবে মূল দুর্গোৎসব।
পুরান অনুযায়ী, মহালয়ার দিনেই ব্রহ্মার কাছ থেকে মহিষাসুরকে বধ করার দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। ব্রহ্মার বরেই মহিষাসুর মানুষ ও দেবতাদের অজেয় হয়ে উঠেছিলেন। ফলে তাকে পরাজিত করার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর যে মহামায়ারূপী নারী শক্তি তৈরি করেন তিনিই দেবী দুর্গা। দশভূজা দুর্গা টানা ৯ দিন যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করেন।  মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে হবে দেবী দুর্গার আবাহন। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি।

যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম সূত্রে জানা গেছে ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ষষ্টাদি কল্পারম্ভে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ওই দিন বিকেল সাড়ে পূজারম্ভ। ১২ অক্টোবর সকাল সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মহাসপ্তমি, ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় মহা অস্টমী; কুমারীপূজা সকাল ১১টায়। রাত আটটা ১৪ মিনিটে সন্ধিপূজা শুরু হয়ে রাত ৯টা দুই মিনিটের মধ্যে সমাপন। ১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় মহানবমী পূজা কল্পারম্ভ; ১৫ অক্টোবর দশমী কল্পারম্ভ সকাল সাড়ে ৬টায় এবং ৮টা ৫১ মিনিটের মধ্যে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। এরই আলোকে এ বছর যশোর জেলার ৮ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ২৫টি বেড়ে ৬৯৮টি মন্দির ও মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে। মন্দিরে ও মন্ডপে প্রতীমা তৈরির কাজে ব্যস্ত ভাস্করেরা। আয়োজকরাও বর্ণিল আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। চারিদিকে ধ্বণিত হবে ‘রূপং দেহি, যশ দেহি, জয়ং দেহি, দিশো দেহি।’
এই বছরের পুজো অন্যান্য বছরের মত নয়। করোনা আতঙ্কের আবহেই গত বছরের মত এবারও দেবীপক্ষের সূচনা হচ্ছে। আর মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবারও হবে মাতৃ বন্দনা। এ দিন মহালয়ার শুভক্ষণে সনাতনধর্মীয় আচারানুষ্ঠান আর বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে যশোরে তিল তর্পণ অনুষ্ঠানসহ নানা ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা হবে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শোক, তাপ, দুঃখ, অমঙ্গল, অন্ধকারহরণ করে শুভ, মঙ্গল, আনন্দপ্রদানকারী ও আলোর দিশারী অসুরবিনাশিনী মা’কে হিমালয় থেকে মর্ত্যে বরণ করে নেয়া হবে। পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণে চিরাচরিত প্রথায় শুভারম্ভ হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের দেবী পক্ষের। এ উপলক্ষে সারা দেশের অন্যান্য জেলার মত যশোরেও সনতান ধর্ম সংঘ যশোরের আয়োজনে সকাল ৬টায় পৌর উদ্যানো পুকুরের পশ্চিম পাড়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.