Take a fresh look at your lifestyle.

বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে: প্রধানমন্ত্রী

0

সংবাদ কক্ষ: দেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৯ এবং ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী না, জনগণের সেবক হিসেবে দেখি। “আমি মনে করি এই দায়িত্ব আমার, জনগণের সেবা করা। আপনাদের কাছেও আমি এটা চাই, আপনারা জনগণের সেবক হিসেবেই কাজ করবেন।”
আইন ও প্রশাসন কোর্সের জ্ঞান কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনের যথাযথ প্রযোগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন, মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করবেন।”
মহামারীর মধ্যে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে আইনের সেবা দেওয়া, বিচার ব্যবস্থাটাকে অব্যাহত রাখা… বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। কারণ আমি তার ভুক্তভোগী।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা এ সময় স্মরণ করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেই আইনটি বাতিল করে দিয়ে খুনিদের বিচার করে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর করে।”
জাতির পিতার সময়ই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৭৫ এর পর সেটাও বাতিল করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের এবং রাজাকার, আল বদর, যারা বাহিনী প্রধান, তাদেরকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল।
খুনিদেরকেও জনগণের ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসানো হয়। আর যুদ্ধাপরাধী যারা- গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ করেছিল, তাদেরকেও ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “খুনিদের বিচারের রায় আমরা কার্যকর করতে পেরেছি। কাজেই সেই বিচারের বাণী যেন আর নিভৃতে না কাঁদে, মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং মানুষ যেন প্রশাসনের সেবাটা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
জনগণের কাছে প্রকৃত সেবা পৌছে দিতে মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার আগে কর্মকর্তারা যেন প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে পারেন এবং তাদের কাজ বুঝে নিতে পারেন সেজন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্বের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একটা দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কিন্তু আসলে কাজ করে একটা দক্ষ ও দূরদর্শী সিভিল সার্ভিস। যেটা প্রয়োজন রয়েছে।
“আমরা নির্বাচিত হয়ে আসি স্বল্প সময়ের জন্য। যারা আপনারা থাকেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য। একটা আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে এগোতে হবে। আমরা সেটাই চাই।
দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলার পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.