Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে পৃথক ৪ মামলায় শর্তসাপেক্ষে পাঁচ আসামির মুক্তি

0

প্রতিবেদক: যশোরে পৃথক চারটি মামলায় পাঁচ আসামিকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। রোববার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস মামলা গুলোর রায় প্রকাশের দিনে এ আদেশ দেন। প্রত্যেক আসামিকে নির্দিষ্ট শর্তদেয়া হয়েছে। শর্তমেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমীন ও ভীমসেন দাস।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর চাঁচড়া রায়পাড়া রেলস্টেশন মাদ্রাসা এলাকার সেকেন্দার আলী শেখের ছেলে রানা শেখ ঝিকরগাছা উপজেলার পার বাজার থেকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক হয়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানার এসআই মিনহাজ উদ্দীন   মামলা করেন। এ মামলায় আদালত আট শর্তে এক বছরের সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেন।
অন্যতম শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রবেশনকালীন সময়ে আসামির নিজ এলাকার উপার্জনে অক্ষম একজন প্রতিবন্ধীকে পরিচর্যা ও আহারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া লিগ্যাল এইড থেকে সেবা গ্রহণের জন্য অসহায়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অপরদিকে, ২০০৫ সালের ৫ জুলাই যশোর শহরের টালিখোলা এলাকা থেকে ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আব্দুল মান্নানের ছেলে মাসুদ রানাকে ১৭ বোতল ফেনসিডিল সহ পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় এ এসআই আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আদালত মাসুদ রানাকে এক বছরের কারাদন্ডের পরিবর্তে আট শর্তে প্রবেশনে মুক্তিদেন। তার উল্লেখযোগ্য শর্ত তার এলাকার একজন সন্তানহীন অস্বচ্ছল বিধবাকে প্রতি মাসে ১শ’৫০ টাকা করে প্রদান করতে হবে ও নিজ এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখতে হবে।
এদিকে, ২০১১ সালের ১২ নভেম্বর চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর পূর্বপাড়ার শুকুর আলী ও তার স্ত্রী রুবিয়া বেগম নিজবাড়ি থেকে ১১ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক হয়। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় দুইজনকে আদালত সাতশর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেয়। তাদের উল্লেখ যোগ্য শর্ত হচ্ছে, প্রবেশনকালীন সময়ে নিজ এলাকার একজন পথশিশুকে আহার ও পরিচর্যা করতে হবে।
এছাড়া, ২০০৮ সালের ১৮ অক্টোবর মালি এলাকা থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল সহ শংকরপুর সন্নাসী পুকুর পাড় এলাকার মৃত অশোক দাসের স্ত্রী সাধনা দাস পুলিশের হাতে আটক হয়। এঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই খবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত সাত শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন। উল্লেখ যোগ্য হলো তাকে স্বাক্ষরজ্ঞান অর্জন করতে হবে। এছাড়া সকল আসামির প্রবেশনে মুক্তির অন্যশর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থাকতে হবে। সৎ ও শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে হবে। কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবেনা। মাদকের সংস্পর্শে যাওয়া যাবেনা। দেশত্যাগ করতে পারবে না ও ট্রাইবুন্যাল কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে তলব করলে যথা সময়ে হাজির হতে হবে। আদেশ অমান্য করলে সাজা ভোগ করতে বাধ্য থাকতে হবে। রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা আটকের পর এ যাবৎকাল হাজিরা কামায় দেয়নি ও তাদের বিরুদ্ধে অন্যকোনো মামলাও নেই। আসামির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুর্নবাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন বিচারক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.