Take a fresh look at your lifestyle.

যেকারণে বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার

0

সংবাদ কক্ষ: ম্যাচের ১৩ ওভার চলমান, শ্রীলঙ্কা ৯০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, ওইসময় আফিফ হোসেনের মতো পার্টটাইমারের হাতে বল কেন তুলে দিলেন রিয়াদ, এবং দেওয়ার পর আবারো নিজে কেন বোলিং করতে আসলেন, এই ব্যাখ্যা আজ সংবাদ সম্মেলনে চাওয়া হলে কি উত্তর দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ? বিশেষ করে যখন সাকিবের দুই ওভার, মুস্তাফিজের তিন ওভার বাকি? ‘বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে ডানহাতি বোলার’ এর পুরোনো মুখস্ত ফর্মুলার দোহাই দেবেন? নাকি আগের ম্যাচের মতো ‘অভিমান’ করবেন?
হ্যাঁ, সাইফউদ্দিন এক ওভারে ২২ খেয়েছেন;হ্যাঁ লিটন দাস দুবার ক্যাচ ফেলেছেন। তবে ১০০ রানের আগে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর ওইসময় পার্টটাইমারকে বল দিয়ে, তার আগে-পরে নিজে দু ওভার করে, ওই তিন ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ম্যাচের ‘মোমেন্টাম’ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দেওয়ায় নিজের সিদ্ধান্তের ভুলের দায়টি কি রিয়াদ দেখবেন না?
না দেখলে নাই, কারণ আর কিছু করার নেই। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বসবেন ১৭২ রানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যাওয়া অধিনায়ক হিসেবে, যা শ্রীলঙ্কা তাড়া করেছে ১৮.৫ ওভারে। নাইম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিকে ব্যর্থ করে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৫ উইকেটে।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড়া করায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাইম শেখ ও লিটন দাসের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দুজনে ৪০ রানের জুটি গড়ার পর ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে লাহিরু কুমারার বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানে আউট হন লিটন দাস।
আগের ম্যাচ যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই যেন শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে শুরুটা সেদিনের মতো বড় করতে পারেননি, চামিকা করুনারত্নের বলের লেংথ না বুঝতে পেরে বোল্ড হয়ে ৭ বলে ১০ করে ফিরেছেন। এরপর নাইম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে শুরু হয় বাংলাদেশের পালটা জবাব। নাইম তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের চতুর্থ ও এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ফিফটি। খেলেছেন ৫২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। আরেক প্রান্তে নিজের ফর্মে ফেরার ঘোষণা দিয়ে মুশফিক করেছেন ৩৭ বলে ৫৭*।
১৭২ রান রক্ষায় শারজাহর মন্থর পিচে অধিনায়ক রিয়াদ বল তুলে দিয়েছিলেন তিন ম্যাচ পর একাদশে ফেরা নাসুম আহমেদের হাতে। নাসুম করেননি হতাশ। চতুর্থ বলেই কুশাল পেরেরাকে বোল্ড করে টাইগারদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছেন ২য় ইনিংসে।
তবে এরপর চারিথ আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কা দারুণভাবে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেন টাইগারদের। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয় ৫৪/১। বাকি বোলাররা যখন রান দেওয়ার প্রতিযোগিতা লাগিয়েছেন, তখনই আসে সাকিবের জোড়া আঘাত। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে তুলে নেন যথাক্রমে দারুণ ব্যাট করতে থাকা পাথুম নিসাঙ্কা ও মাত্র নামা আভিশকা ফার্নান্দোকে। নিসাঙ্কা বোল্ড হন তাঁর ‘ট্রেডমার্ক’ আর্মবল, পরেরজন বোঝেননি ফ্লাইট। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরান সাইফউদ্দিন। তবে আসালাঙ্কা তুলে নেন ফিফটি।
এর মাঝেই রিয়াদের ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, লিটনের দুবার ক্যাচ মিস এবং সাইফউদ্দিনের বিশাল ওই ওভার, যেখানে ভানুকা রাজাপাকশের হাতে দুটি করে চার আর ছক্কা হজম করেন সাইফউদ্দিন।
এরপর আসলে আর কিছু করার ছিলোনা বাংলাদেশের। বরং আফসোস হওয়া উচিত ভানুকা রাজাপাকশের। দুবার জীবন পেয়েছেন, এরপর করেছেন ৩১ বলে ৫৩ রান। ১৯তম ওভারেই ম্যাচ জিতলো শ্রীলঙ্কা। এক বল আগেই ভানুকা আউট হলেন, শেষ করে আসতে পারলেন না। চারিথ আসালাঙ্কা অবশ্য ৪৯ বলে ৮০* রান করে ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.