Take a fresh look at your lifestyle.

নতুন জালিয়াতির ফাঁস রোধ ও আলামত জব্দের নতুন কৌশল!

যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৫ কোটি টাকা লোপাট

0

প্রতিবেদক:
চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যেই এবার মামলার আলামত নষ্ট এবং নতুন জালিয়াতির ঘটনা যেন উন্মোচিত না হয়- এমন তৎপরতা শুরুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে যশোর শিক্ষাবোর্ডের জালিয়াতির ঘটনা উন্মোচনকারী অডিট ও হিসাব শাখার দুই কর্মকর্তার অফিসিয়াল ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলা এবং তাদের রুম লক করে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষাবোর্ডে নতুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুদকের এজাহারে অভিযুক্ত যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নতুন কোনো জালিয়াতির ঘটনা যেন ফাঁস না হয়, সেজন্য এমন সব কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে অডিট শাখায় অফিস করছিলেন সেকশন অফিসার আইয়ুব হোসেন উজ্জ্বল ও জুনিয়র অডিটর শেখ আব্দুর রফিক। বেলা ১১টায় হিসাব ও নীরিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক জুনিয়র অডিটর শেখ আব্দুর রফিক গত ৪-৫ বছরের সকল বিল ভাউচারসহ যাবতীয় কাগজপত্র তার তত্ত¡াবধানে নেন এবং চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে অফিসের ১০৯ নং রমটি তালাবন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ রয়েছে বলে জানান। তারা দুজন কোথায় অফিস করবেন জানতে চাইলে অফিস চত্বরে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে উপপরিচালক এমদাদুল হকের মোবাইলে কল করে এবং এসএমএস পাঠিয়েও জবাব পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, জুনিয়র অডিটর শেখ আব্দুর রফিক ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট করার সময় গত ৪ অক্টোবর অনিয়মের বিষয়টি সর্বপ্রথম তার নজরে আসে। তিনি তিনদিন পরীক্ষার পর ‘পুকুরচুরির’ বিষয়টি আবিষ্কার করেন। ৭ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হবার পর অডিট শাখার উপপরিচালক মো. এমদাদুল হককে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক গত ১৮ অক্টোবর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই তারা লাপাত্তা হন। মাঝে ২ দিন কিছু সময়ের জন্য চেয়ারম্যান অফিস করলেও এখনও মেডিকেল ছুটি দেখিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন সচিব। এরইমধ্যে নতুন করে আরও আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এসব নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজও করছে। এমনই এক সময় জালিয়াতি উন্মোচনকারী দুই কর্মকর্তার অফিস লক এবং সকল কার্যক্রম থেকে তাদের সরিয়ে রাখায় নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের নতুন জালিয়াতির ঘটনা যেন সামনে না আসে এবং দুর্নীতির সকল আলামত নষ্ট করার ফন্দি হিসেবেই সকল কাগজপত্র চেয়ারম্যানের দুর্নীতির সহযোগীদের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। এ আগে সচিব থাকার সময়ও মোল্লা আমীর হোসেন একইভাবে দুর্নীতির আলামত নষ্ট করেন বলে আসাদুজ্জামান দাবি করেন।
বক্তব্য জানতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেনের অফিসিয়াল দুটি নম্বরের একটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং অপরটি রিসিভ করেননি। ব্যক্তিগত নম্বরও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.