Take a fresh look at your lifestyle.

শুভ জন্মদিন দিয়াগো ম্যারাডোনা

0

বাবলু ভট্টাচার্য

বিদ্রোহী হিসেবেই তার খ্যাতি সমগ্র বিশ্বে। সারাজীবন অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিপ্লবী আচরণ দিয়ে তিনি কামিয়েছেন এই খেতাব। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তার অসামান্য ফুটবল সত্তাকেই বড় করে দেখা হয়। নাম তার দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

ফুটবলারদের মধ্যে সর্বকালের সেরা দু’জনের একজন। ফুটবলের ঈশ্বর ম্যারাডোনার জীবনটা রূপকথার মতো। উত্থান-পতনে পরিপূর্ণ। দেখতে দেখতে জীবনের ৫৬ বছর অতিক্রান্ত করেছেন।

কারও কাছে তিনি সাক্ষাৎ নরকের দূত, কারও কাছে ঈশ্বর। যেভাবেই দেখা হোক না কেন, ম্যারাডোনা ছাড়া অপূর্ণই থেকে যাবে ফুটবল। বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে অনেক অনাহুত ঘটনার জন্ম দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ১৯৯৭ সালে ৩৭তম জন্মদিনে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর এক যুগ অনেকটাই নিভৃতে ছিলেন।

কিন্তু ২০১০ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হয়ে আবারও নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় তুলে আনেন। এরপর বিশ্বকাপে ব্যর্থতা এবং বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে কোচ পদে থাকা নিয়ে টানাপোড়েনে আর্জেন্টাইন বোর্ডের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। যে কারণে মেসি, হিগুয়াইনদের অভিভাবক হিসেবে পাশে থাকা হয়নি।

নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের কারণে বেশ কয়েকবার ম্যারাডোনার জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়েছিল। এ কারণে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকাকে নিষিদ্ধও হতে হয়। নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল ম্যারাডোনার জীবন নিয়ে। দু’বার তো মৃত্যৃর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন।

২০০০ ও ২০০৪ সালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবল তারকা। কিন্তু সে যাত্রায় দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার শুশ্রুষায় নবজীবন পান। তারপর থেকে আর নিষিদ্ধ জগতে পা রাখেননি। একপ্রকার ভালই চলছিল জীবনের গতিপথ। তবে হঠাৎ করে ২০১২ সালে কিডনিতে অস্ত্রোপচার করার কারণে আরেকবার ধাক্কা খেতে হয় আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরকে।

এখন অনেকটা নিভৃতেই চলছে তার জীবন। এরপরও আলোচনার কমতি নেই।

দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা ১৯৬০ সালের আজকের দিনে (৩০ অক্টোবর) বুয়েনস ইয়ার্সের লানুসের ভিয়া ফিয়োরিতোর এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

Leave A Reply

Your email address will not be published.