যশোরে দীপাবলি উৎসব বর্জন, মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ
প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গাপূজায় হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে এবছর যশোরে শ্যামাপূজার দীপাবলির উৎসব বর্জন করে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ সম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। একই সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোরের দুই হাজারেও বেশি শ্যামাপূজা মন্ডপের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুন্ডু জানান, সারাদেশের মধ্যে শ্যামাপূজা যশোরের ঐতিহ্য রয়েছে বহন করে। এবারের সেই ঐতিহ্য ভেঙ্গে পূজার সকল উৎসব বর্জন করা হয়েছে। এবারের শ্যামাপূজায় পূজার্থীদের আয়োজন অনুসারে প্রতিমা/ঘট/স্থায়ী বিগ্রহে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিককালে সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে সব শ্যামা পূজামণ্ডপে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ মিনিট কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই সাথে দর্শনার্থী ও ভক্তরা স্ব স্ব মন্দিরে নীরবতা পালন করেছেন। যশোরের আট উপজেলায় দুই হাজারের বেশি পূজা মন্ডপে শ্যামাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে পূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু যশোর জেলা অসাম্প্রদায়িকতার ঐতিহ্য বহন করছে যুগযুগ ধরে। তার পরেও পূজাকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষে জেলা প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও জেলা পূজা পরিষদের উদ্যোগে ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাধারণত শ্যামাপূজায় তেমন নিরাপত্তার বলায়ের আওতায় থাকে না। কিন্তু এবার প্রতিটি পূজা মন্দির ও মন্ডপে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে একজন করে পুলিশ সদস্য নিয়েজিত থাকবে। সমগ্র জেলায় পূজামন্ডপগুলো নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা পূজা পরিষদের উদ্যোগে যশোর নীলগঞ্জ শ্বশানে ‘পর্যবেক্ষন টিম’ ২৪ ঘন্টা মনিটারিং করবে। আশাকরি জেলায় কোন মন্ডপে পূজাকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার সহিংসতা ঘটবে না।
এদিকে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোর শহরের নীলগঞ্জ শ্মশান পূজা মন্দিরে জেলা পূজা পরিষদের উদ্যোগে সন্ধ্যা ৬ থেকে ১৫ মিনিট মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি অসীম কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি দেবেন্দ্র নাথ ভাস্কর, সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্রনাথ পাল, পৌর কমিটির সভাপতি সুজিত কাপুড়িয়া বাবলু ,সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার নাথ বাবলুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।