পরিবহণ ধর্মঘটে দুর্ভোগ চরমে
প্রতিবেদক: ডিজেল ও করোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করেছে সরকার। দিবাগত রাত ১২টা থেকেই এই দাম বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়। তার পরের দিনই ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। আজ (শুক্রবার) সারা দেশে পরিবহণ ধর্মঘটে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কর্মস্থল, হাসপাতাল, পরীক্ষা কিংবা জরুরি কাজের উদ্দেশে রাস্তায় বের হয়ে গণপরিবহণ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। মোটকথা পরিবহণের হাতে সারা দেশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পরিবহণের এই ধর্মঘটে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। এভাবে হুটহাট বাস বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এভাবে সাধারণ মানুষদের জিম্মি কেন করা হচ্ছে?
এদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে ২১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের মণিহার বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকরা। এ সময় তারা গাড়ি চললে বাধা দেয়। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপারে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প হিসেবে অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করেছেন। তবে সেটি ছিল যুদ্ধের শামিল। রেল স্ট্রেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। সাইদুল নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ থেকে খুব কষ্টে ভেঙে ভেঙে যশোর এসেছি। যেতে হবে খুলনায়। কিভাবে গন্তব্যে যাবো ভেবে পাচ্ছি না।’ সাগর নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, খুলনায় চাকরির পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছি। ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবো কিনা অনিশ্চিত।
যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি অপু কাপুড়িয়া জানিয়েছেন, করোনার সময় চার মাস গাড়ি বন্ধ ছিল। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ, গাড়ির ট্যাক্স টোকেনের দাম বেড়েছে। সেসব কারণে শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে চায় না-আমরাও জোর করছি না।