Take a fresh look at your lifestyle.

এমপিও বঞ্চিত শুধু বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা (ভিডিও)

0

প্রতিবেদক: বেসরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মাদরাসার কামিল শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা ২৯ বছরেও এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। অবিলম্বে এমপিওভুক্তির দাবিতে যশোরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল, উপশহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন যশোর জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তরিকুল ইসলাম, সদস্য প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, প্রভাষক ইকবাল হোসেন, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারাদেশের বেসরকারি কলেজসমূহে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী কৃত্বিত্বের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে আপনার সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত (অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষকসহ) কলেজ জাতীয়করণের আওতায় পড়েছে, যার ফলে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় অবশিষ্ট এমপিওভুক্ত কলেজসমূহের অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে অধ্যয়নরত প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত ৫ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে এখনও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় একদিকে যেমন এ সকল শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারছে না, অন্যদিকে প্যাটার্ন বহির্ভূত শিক্ষক হিসেবে কলেজ থেকে পূর্ণস্কেলে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও ইতিপূর্বে কলেজভেদে ২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকার বেশি কখনই দেওয়া হয়নি। করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ কলেজগুলোতে এ সকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত এ সকল শিক্ষক বর্তমানে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন, আবার কামিল শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকরা আজও এমপিওভুক্ত হতে পারিনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে দাবি জাানিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ আমাদের দাবি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি। অবিলম্বে যশোরসহ সারাদেশের বেসরকারি কলেজসমূহে পাঠদানে নিয়োজিত অসহায় ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.