Take a fresh look at your lifestyle.

টি-২০ বিশ্বকাপ : অস্ট্রেলিয়ার মাথায় সেরার মুকুট

0

সংবাদকক্ষ

টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের ধারা অব্যাহত থাকল নিউজিল্যান্ডের। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জেতার পর এবার টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের হাতছানি ছিল কেন উইলিয়ামসনদের সামনে। কিন্তু ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ও এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ খেতাব জেতা হল না কিউইদের। ৬ বছর অন্তর আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির অব্যাহত রেখে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বজয়ের স্বাদ পেল অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ, ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ও এবার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়। শেষ তিনটিই কিউইদের হারিয়ে।

ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের পার্টনারশিপই জয়ের ভিত গড়েছিল অজিদের। ওয়ার্নার দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন মার্শ। তাঁকে সঙ্গ দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। প্রথমবাুর টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারে আসে ১ রান। দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদি ১০ রান দেন।

তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ট অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে আউট করেন, ফিঞ্চ ফেরেন সাত বলে ৫ রান করে। এই ওভারে বোল্ট খরচ করেন মাত্র ৪ রান। কিন্তু এরপরই আক্রমণকেই অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। চতুর্থ ওভারে অ্যাডাম মিলনে ১৫, পঞ্চম ওভারে সাউদি ১০ রান দেন। ষষ্ঠ ওভারে মিলনে ৩ রান খরচ করায় পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে অজিদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৩। সপ্তম ওভারে ইশ সোধি দেন মাত্র ৭। অষ্টম ওভারে মিচেল স্যান্টনার ১০ রান দেওয়ার পর ইশ সোধি ম্যাচের নবম ওভারে ১৭ রান দিয়ে বসেন। দশম ওভারে স্যান্টনার ৫ রান দেন। ১০ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৮২।

পানিপানের বিরতির পর উইকেট পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে ব্রেক থ্রু-র জন্য ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ জিমি নিশামকে নিয়ে আসেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার বিধ্বংসী মেজাজে থাকায় এই ওভারে ১৫ রান তুলে ফেলে অজিরা। ১১.৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ১০০ রান পূর্ণ হয়। ম্যাচের ১৩তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলে ওয়ার্নারকে বোল্ড করেন বোল্ট।

৩৮ বলে ৫৩ রান করে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হলেন অজি ওপেনার, তবে টপকাতে পারলেন না বাবর আজমকে। ওয়ার্নার চারটি চার ও তিনটি ছয় মারেন। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল ১০৭ রানে। ১৪তম ওভারে ইশ সোধি দেন ১৬ রান। এই ওভারেই টি ২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্রুততম অর্ধশতরানটিও সেরে ফেলেন মিচেল মার্শ।

এদিনই ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে যে নজির কেন উইলিয়ামসন গড়েছিলেন, তা ভেঙে দেন মার্শ ৩১ বলে অর্ধশতরান করে। নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার ট্রেন্ট বোল্ট চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিলেন দুটি উইকেট। তাও ম্যাচের ১৭তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে তিনি ১০ রান দেন।

এরপর সাত বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়। টিম সাউদির বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্যুইচ হিটে রচিত হয় নয়া ইতিহাস। এবারের বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়াকে কেউই কাপ জয়ের দাবিদার বলে মনে করেনি। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে ব্যর্থতার পর। আইপিএলে অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নার বাদও পড়েছিলেন খারাপ ফর্মের কারণে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল থেকে। সেই ওয়ার্নারেই আস্থা রেখেছিল অজিরা। ওয়ার্নার হলেন এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। ৬টি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন মিচেল মার্শ। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৮ রান করে। তিনি চারটি চার ও একটি ছয় মেরেছেন। নক আউটে ভারতের মুখোমুখি হওয়া কোনও দল টি-২০ বিশ্বকাপ জেতেনি, সেটা অক্ষত থাকল নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। অজিদের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত হারিয়েছিল। সেখান থেকে অজিরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, আগামী বছর দেশের মাটিতে টি ২০ বিশ্বকাপে নামবে খেতাব দখলে রাখার লক্ষ্য নিয়ে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.