Take a fresh look at your lifestyle.

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর ও সচিব রেজা ওএসডি

0

প্রতিবেদক: অবশেষে যশোর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজাকে প্রত্যাহার করে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে  বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।  একই সাথে চেয়ারম্যান পদে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আহ্সান হাবীব ও সচিব পদে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল খালেক সরকারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ্র স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ বিষষটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, যশোর শিক্ষাবোর্ডের প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাত ও জালিয়াতির মামলার তদন্ত কর্মাকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন  দুদক সমন্বিত যশোর  যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। গত ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষাবোর্ডে প্রথম জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ১৮ অক্টোবর দুদক’র সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন, শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সাবেক সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলমের নামে মামলা করেন। এ ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।  যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির প্রধান কেএম রব্বানি গত ১৪ নভেম্বর সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ৫৮ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই জালিয়াতির সাথে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জড়িত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় টাকা  আত্মসাত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, বোর্ডের দুর্নীতির মামলাটির তদন্তভার আমার উপর দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। আত্মসাতকৃত টাকার শেষ গন্তব্যস্থল আমরা খুঁজে বের করব। এর সাথে জড়িত যেই হোকনা কেন কেউ রেহাই পাবেনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.