Take a fresh look at your lifestyle.

`আ.লীগের আর একজন কর্মীর রক্ত ঝরলে সহ্য করা হবে না’

0

প্রতিবেদক: যশোর শার্শা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মাঠে নেমেছেন শার্শা আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি মঙ্গলবার উপজেলার উলাশী, বাগআঁচড়া, কায়বা ও গোগা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে যান। সহিংসতায় আহত নারী পুরুষের সাথে কথা বলা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করেন । তান্ডব চালানো সন্ত্রাসীদের সতর্ক করে গোগা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পথ সভায় বক্তব্য দেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আর একজন কর্মীর রক্ত ঝরলে সহ্য করা হবে না।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা তান্ডব চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের লোক সেজে কৌশলে নৌকার পরাজয়ের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তারা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা , মারপিট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বিদ্রোহীদের সাথে আঁতাত করে এলাকায় ফিরে আসে নাশকতা মামলার একাধিক পলাতক আসামি। তাদের সাথে নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় ছিলো বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজয়ের পর থেকেই ওই সন্ত্রাসীরা গ্রামে গ্রামে তান্ডব চালানো শুরু করে। তারা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সাথে মিশে কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে। তাদের বেপরোয়া তান্ডবে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন পথ সভায় এমপি আফিল উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সাথে জামায়াত বিএনপির লোক ঢুকে গেছে। তারাই এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে কৌশলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের রক্ত ঝরাচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করছে। হামলাকারীদের মধ্যে অনেক নাশকতা মামলার আসামি রয়েছে। তাদের প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হতে হবে। এমপি বলেন, নির্বাচনে ফলাফল যা হবার হয়েছে। এখন কাউকে সহিংসতার সুযোগ গ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবেনা। আওয়ামীলীগের কোন কর্মীকে জখম ও নির্যাতন করা, মা-বোনদের ওপর হামলা করাসহ কোন প্রকার সহিংসতা মেনে নেয়া হবেনা।
নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়ে সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিন বলেন, আপনারা সকলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপি জামায়াতের ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের সাথে মিশে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাড়ি হামলা ও মারপিট করছে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের রক্ত ঝরছে আর লাভবান হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত। বিষয়টি মনে রেখেই আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানানো হয়।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম জানিয়েছেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন আওয়ামী লীগ সেজে কৌশলে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা, মারপিট ও তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করছে। পরিবেশ শান্ত রাখতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.