Take a fresh look at your lifestyle.

শুভ জন্মদিন মোরশেদুল ইসলাম

0

বাবলু ভট্টাচার্য:

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিচালিত ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্সে চলচ্চিত্র তৈরির প্রাথমিক ধারণা গ্রহণের পর মোরশেদুল ইসলাম সেই বছরই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আগামী’ নির্মাণ শুরু করেন।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের বিকল্প ধারার প্রথম ছবিটি ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় এবং ১৯৮৫ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য ‘রৌপ্য ময়ূর’ পুরস্কার লাভ করে।

মোরশেদুল ইসলাম ওয়েস্টার্ন হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকেইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসিতে ভর্তি হন।

১৯৯৩ সালে সেলিম আল দীনের চাকা গল্প অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘চাকা’ চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রটি মানহাইম-হেইডেলবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে প্রদর্শিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর ডানকার্ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ ও শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার অর্জন করে।

১৯৯৬ সালে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘দীপু নাম্বার টু’ কিশোর উপন্যাসটি চলচ্চিত্রায়িত করেন। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

১৯৯৭ সালে নিজের লেখা কাহিনি নিয়ে নির্মাণ করেন ‘দুখাই’। প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রাম এই ছায়াছবির উপজীব্য বিষয়। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ নয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।

২০০৪ সালে জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘দূরত্ব’। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালে লন্ডনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্‍সবে প্রদর্শিত হয় এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।

২০০৬ সালে মাহমুদুল হক রচিত উপন্যাস খেলাঘর অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘খেলাঘর’ সিনেমাটি। এটি ২০১২ সালে সার্ক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার অর্জন করেন।

২০০৯ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রিয়তমেষু উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘প্রিয়তমেষু’। দুই নারীর প্রতিবাদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রের গল্পে। এটি ২০১২ সালে সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।

চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ সাতটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

২০১১ সালে মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘আমার বন্ধু রাশেদ’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন এক কিশোরের যুদ্ধে অবদান চিত্রিত হয়েছে এই ছায়াছবিতে। ২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে ছবিটি।

২০১৫ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন ‘অনিল বাগচীর একদিন’। এই বছর চলচ্চিত্রটি কলম্বো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ব্যাংককের ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়।

২০১৬ সালে ৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

মোরশেদুল ইসলাম ১৯৫৭ সালের আজকের দিনে (১ ডিসে) পুরোনো ঢাকার লালবাগে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

Leave A Reply

Your email address will not be published.