Take a fresh look at your lifestyle.

ইন্টার্ন ও কর্মচারীদের গোলযোগের ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল

0

প্রতিবেদক: গত ১৫ ডিসেম্বর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মাঝে গোলযোগের ঘটনা ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হলেন মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এনকে আলম। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, শনিবার তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পৌঁছে গেছে।
যশোর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি আলোচনা সভার পর যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এনকে আলমকে সভাপতি ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি ৪ সদস্য হলেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এবিএম সাইফুল আলম, অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আব্দুর রউফ, সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল ও কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. তৌহিদুল ইসলাম। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোর জেলা শাখার সভাপতি ডা. একেএম কামরুল ইসলাম বেনু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ বাশার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের কতিপয় উচ্ছৃংখল কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাজাদ জাহান দিহান, ডা. নাসিম ফাহমিদ ও ডা. সোহানুর রহমান সোহানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের কথা উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির জন্য হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে দাবি করে ইন্টার্নদের সকল প্রতিবাদ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানিয়েছেন, ঘটনার প্রথমে ইন্টার্নরা মিলে এক্সরে বিভাগে কর্মরত কর্মচারী মেহেদি হাসানকে মারপিটের ঘটনাটি কোন আলোচনায় নেই। ঘটনাটি আড়াল করে ইন্টার্ন চিকিৎসক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, তদন্তে অবহেলা বা স্বজনপ্রীতি না করে ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে। তদন্তে ইন্টার্ন বা কর্মচারী যেই দোষী প্রমাণিত হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান এনকে আলম জানান, তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
-ডিকে/পিআর/আইআর

Leave A Reply

Your email address will not be published.