Take a fresh look at your lifestyle.

‌’যশোরে বিএনপির গণসমাবেশের অনুমতি না দিলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’

0

প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির দাবিতে অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে গণসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে যশোর জেলা বিএনপি। সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, প্রশাসন যদি ২২ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের অনুমতি না দেয়, তাহলে ওইদিন যশোরের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কি করবে। আমাদের কোন জেদ কাজ করে না। আমারা প্রশাসনের কাছে তিনটি স্থানের প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে তিনটি বিকল্প দিয়েছি। আমরা ঈদগাহ ময়দান চেয়েছি, টাউনহল ময়দান চেয়েছি এমনকি আমরা উপশহর ডিগ্রী কলেজের মাঠও চেয়েছি। আমরা কোন সংঘাতে যেতে চাইনি। আমরা শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে চাই।’

প্রেস ব্রিফিং এ যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সর্বশেষ রোববার দলের জেলা শাখার আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে আমাদের আবেদনের কথা বলে এসেছি। তারা দুজন অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আমাদের কথা শুনেছেন। আশা করছি খুব দ্রæত আমাদের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে অনুমোদন দেবেন।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমাদের এই মূহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি আমাদের প্রিয় নেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা। এই ন্যায় সংগত দাবি আদায়ের জন্য গত এক মাস বিএনপি সারাদেশে রাজপথে আন্দোলন ও সমাবেশ করছে।
তিনি বলেন, গত একমাসে কোথাও এমন কোন নজির নেই যে বিএনপির সমাবেশের কারণে কোথাও আইনশৃংখলার অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতার সাথে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে কর্মসূচিগুলো পালন করছে। সম্প্রতি দেশের বিভাগীয় শহরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনটি ধাপে সারা দেশে ৩২ টি জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। প্রথম ধাপ ২২ তারিখ, দ্বিতীয় ধাপ ২৬ তারিখ ও তৃতীয় ধাপ ২৮ ডিসেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। প্রথম ধাপে খুলনা বিভাগে একটি জায়গায় গণসমাবেশ হবে। সেটি যশোরেই হবে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মানুষের যে আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে সেকারনে আমরা যশোরের সমাবেশকে গণসমাবেশ নাম দিয়েছি। কারন আমরা বিশ্বাস করি এই সমাবেশে শুধুমাত্র বিএনপির কর্মীরা নয় , তার বাইরেও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতি ঘটবে। সুশৃংখল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যে পদক্ষেপ নেয়ার দরকার যশোর জেলা বিএনপি তা ইতিমধ্যে নিয়েছে। সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য ৭টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা গত কয়েকদিন দিনরাত পরিশ্রম করছে। আমরা বিশ্বাস করি সকলের সহায়তায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর যশোর টাউন হল ময়দান এ গণসমাবেশের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাবে এবং স্মরণকালের বৃহত্তম গণসমাবেশে রূপ নেবে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, গোলাম রেজা দুলু, অ্যাড. জাফর সাদিক, আব্দুস সালাম আজাদ, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, মিজানুর রহমান খান, শরফুদ্দৌলা ছোটলু, যশোর নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুনির আহমেদ সিদ্দীকি বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, মনিরামপুর থানা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড.শহীদ ইকবাল, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা প্রমুখ।
-ডিকে/আইআর

Leave A Reply

Your email address will not be published.