Take a fresh look at your lifestyle.

বিএনপির পদ হারালেন মঞ্জু, অমিত ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক

0
সংবাদ কক্ষ: খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  শনিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই কথা জানানো হয়। অনিন্দ্য ইসলাম বিএনপির সহ সাংগঠ‌নিক সম্পাদক হিসেবে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব পালন করছি‌লেন।

নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অব্যাহতির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পারার কথা বলা হয়েছে। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ৪৪ বছর রাজনীতি করে বিএনপিকে টিকিয়ে রাখার ‘পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) কাছে ২৯ পাতার একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। তাতে এ অঞ্চলের দল গঠনে যে অনিয়মন হয়েছে, স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে তার প্রতিকার চাওয়া হয়েছিল। সেই আবেদন মূল্যায়ন হয়নি। যারা দীর্ঘদিন খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত তদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে আকষ্মিকভাবে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একটি গ্রুপ কারসাজি করে এই কাজ করেছে। তারা সত্য গোপন করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অন্ধকারে রেখে কমিটি গঠন করেছে। এই কথাগুলোই গত ১৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি, দলকে কোনো চ্যালেঞ্জ করা হয়নি, দলের নেতৃত্বের প্রতি কোনো অবজ্ঞা ছিল না। শুধু নতুন কমিটি পুনর্মূল্যায়নের দাবি করা হয়েছিল।’
গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে বাদ দেওয়া হয়। মহানগর কমিটির নতুন আহ্বায়ক করা হয় আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে। আর জেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আগের সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খানকে।
কমিটি থেকে বাদ পড়ায় ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম। নিজের অনুসারীদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান। এর দুই দিন পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নজরুল ইসলামকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ওই নোটিশে বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর ছিল।
-ডিকে/আইআর

Leave A Reply

Your email address will not be published.