Take a fresh look at your lifestyle.

ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব ফল খাওয়ার আগে সতর্কতা জরুরি

0

সংবাদকক্ষ :

সারাবিশ্বেই দিন দিন বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। একবার এই রোগ হলে, তা সেরে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে বিপদ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাইতো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের পাশাপাশি আক্রান্তদের খাদ্যাভ্যাসের উপর কড়া নজর রাখতে হয় সবসময়। কারণ খাবারদাবারের সামান্য এদিক সেদিক হলেই ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি।

নিশ্চয়ই জানেন, তাজা যেকোনো ফল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। তবে ডায়াবেটিস সমস্যায় ফল গ্রহণের প্রতি হতে হবে সতর্ক। কারণ প্রাকৃতিক মিষ্টি বেশ কিছু ফলে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায়, তা সরাসরিভাবে ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু ফল খাওয়ার বিষয়ে হতে হবে সতর্ক।

সফেদা
খুবই জনপ্রিয় ফল সফেদাও স্বাদে দারুণ মিষ্টি হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম সফেদা থেকে পাওয়া যাবে ৭ গ্রাম চিনি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে ৫৫ ভ্যালু সমৃদ্ধ এই ফলটি ডায়াবেটিসের সমস্যায় খুবই ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে।

আঙ্গুর
আঙ্গুর বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ আঙ্গুর তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয় একটি ফল। তবে আমের মতই উচ্চমাত্রার চিনি রয়েছে এই ফলটিতে। মাত্র ৮৫ গ্রাম আঙ্গুর থেকে পাওয়া যাবে ১৫ গ্রাম চিনি। যা সহজেই রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে দিতে পারে।

কিশমিশ
অনেকেই হাতের কাছে কিশমিশ পেলে কয়েকটি খেয়ে ফেলেন। ভীষণ মিষ্টি স্বাদের শুকনো এই ফলটি আঙ্গুরের আরেকটি রূপ। মায়ো ক্লিনিকের মতে এক কাপ পরিমাণ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ চিনি ও ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। বোঝাই যাচ্ছে, ডায়বেটিস রোগীদের কিশমিশ থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি।

আনারস
সঠিকভাবে পাকা আনারস স্বাদে দারুণ মিষ্টি হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ সমৃদ্ধ এক কাপ পরিমাণ আনারস থেকে পাওয়া যাবে ১৬ গ্রাম চিনি। যা খুব সহজেই রক্তে চিনির মাত্রা এক লাফে বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের টাইপ-২ ডায়বেটিসের সমস্যা বেশি, তাদের মিষ্টি স্বাদের আনারস থেকে দূরে থাকাটাই হবে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.