ওমিক্রন সতর্কতা উপেক্ষিত বেনাপোল বন্দরে
প্রতিনিধি, বেনাপোল :
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দরে সতর্কতা কোন বালাই নেই। দায় সারা দায়িত্ব পালন করছে তারা। আবার অফিস খোলা থাকলেও ডাক্তারদের কোন পাত্তানেই। এখানে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার থার্মার স্ক্যানার থাকলেও সেটি মনিটরিং করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এদিকে, বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আসা কোন ট্রাক ড্রাইভার এবং খালাসির মুখে মাস্ক নেই। আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক রেখে প্রকােশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্দর অভ্যন্তরে।
সরজমিনে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ প্রতিবেদক এমন দৃশ্য দেখতে পান । এ সময় ভারতীয় ট্রাক ড্র্রাইভার কৃষ্ণ অধিকারী ও ভদ্রেস্বর ঘোষ জানান, আমাদের কাছে কোন মাস্ক নেই। আজ কিনবো। তাছাড়া জিরো পয়েন্ট দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য যে সব ট্রাক ভারত থেকে আসছে সে সব ট্রাকে জীবানুনাশক কোন স্পে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ সময় কোন মেডিকেল টিমের সদস্যকেও সেখানে পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল । কিন্ত বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আবার চালু করা হবে। ট্রাক চালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্ত তারা মানছে না। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে ,এখন থেকে শুধু ট্রাকের চালক ভারতীয় ট্রাক নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে। কোন খালাসি প্রবেশ করবে না।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার ও সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাক্স ছাড়া কাউকে ইমিগ্রেশনের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। কিন্তু এমন দৃশ্য এ প্রতিদেকের নজরে পড়েনি।
বেনাপোল চেক পোস্টে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা: আশরাফুুজ্জামান জানান, আমি একটি মিটিং এ অফিসের বাইরে আছি। তবে ওমিক্রন নিয়ে সরকারিভাবে কোন দিকনির্দেশনা আসেনি। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদর ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এমন দৃশ্যও দেখা যায়নি সরজমিনে ।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় নতুন করে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারিভাবে কোন দিক নির্দেশনাও পাইনি। তবে করোনা ভাইরাসের সময় যে কার্যক্রম ছিলো সেটিই এখনো চলমান আছে।
-ডিকে/সবুজ/আইআর