করোনা : নতুন দুই চিকিৎসা অনুমোদন
বিশেষজ্ঞরা সিনথেটিক অ্যান্টিবডি চিকিৎসাপদ্ধতি সট্রোভিম্যাবের সুপারিশ করেছেন
সংবাদ কক্ষ :
করোনাভাইরাসের মহামারির সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞান লড়েই চলেছে। কিন্তু সেভাবে যুৎসই লাগাম পায়নি গবেষকরা। নানা পদ্ধতি, উপায়, ভ্যাকসিন, ওষুধের মাধ্যমে চলছে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধের চেষ্টা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবার করোনাভাইরাসের নতুন দুই চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধ করতে টিকার পাশাপাশি নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন ধরণে সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির হার ক্রমশ বাড়ছে।
ডব্লিউএইচও আশঙ্কা করছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেক মানুষ করোনা সংক্রমিত হবে।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের কর্টিকসটারয়েডস নামে একটি ওষুধের সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ বারিসিটিনিব প্রয়োগ করলে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে।
যারা বয়স্ক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম কিংবা ডায়াবেটিসের মতো কোনো রোগে ভুগছেন, তাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা সিনথেটিক অ্যান্টিবডি চিকিৎসাপদ্ধতি সট্রোভিম্যাবের সুপারিশ করেছেন।
তবে করোনা সংক্রমিত যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ঝুঁকি কম, তাদের ক্ষেত্রে সট্রোভিমাব প্রয়োগের খুব বেশি প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হয় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনের মতো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কতটা কার্যকর, তা এখনও নিশ্চিত নয়।