ভাটা শ্রমিক ফাহিমা হত্যায় স্বামীর দায় স্বীকার
প্রতিবেদক
যশোরে ভাটা শ্রমিক ফাহিমা খাতুন (৩০) হত্যায় দায় স্বীকার করেছে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে জাহাঙ্গীর হোসেনকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত কর্মকর্তা। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তিনি। আদালত জবানবন্দি গ্রহন শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের এসআই গোলাম আলী। জাহাঙ্গীর হোসেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে।
এদিকে, শুক্রবার ভোর চারটায় নিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করার পর শুক্রবার বিকেলে আদালতে জাহাঙ্গীরকে সোপর্দ করা হয়। এরআগে নিহতের ভাই শরিফুল অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহতের ভাই সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার চরগ্রামের মৃত আনছার আলী শেখের ছেলে ও নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলায় উল্লেখ করেন, ২১ বছর আগে জাহাঙ্গীর মোড়লের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার বোন ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করতেন। গত পহেলা ডিসেম্বরে ইসমাইলের মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুরের দফাদার ইটের ভাটায় কাজ নেয়। এক সপ্তাহ কাজ করলে বৃষ্টি ও দূর্যোগের সৃষ্টি হয়। সে কারণে দুজনেই তালায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এক সপ্তাহ পরে ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তালা থেকে যশোরে ওই দফাদার ইট ভাটায় কাজে আসে। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে খোজাখুজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা তালা থানায় জিডিও করা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার তিনি ফাইমার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন। পরে তিনি মামলা করেন। মামলার পর অভিযানে নামে পিবিআই। পিবিআই’র এসআই গোলাম আলী ও এসআই শরীফ এনামুল হকের সমন্বয়ে একটি টিম সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।