Take a fresh look at your lifestyle.

`বাগআঁচড়ায় ৩শ’ পরিবার বাড়ি ছাড়া ‘

থামছেই না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

0

প্রতিনিধি, বেনাপোল:
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে থামছেই না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। প্রতি রাতে পরাজিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস কবীর বকুলের সমর্থকদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর অব্যাহত এবং শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দলীয় প্রতিপক্ষ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সমর্থকরা।
নৌকার পরাজিত প্রার্থী ইলিয়াস কবীর বকুল বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনো ৩শ’ পরিবার বাড়ি ছাড়া রয়েছে। প্রতি রাতে এলাকায় বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে এসব ত্রাস বাহিনী। এদের হামলায় ৫৫টি বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। আহত হয়েছে ১৮০জন নৌকা কর্মী-সমর্থক। থানা ও আদালতে সন্ত্রসীদের নামে ১৩টি মামলা হলেও এ পর্যন্ত আটক হয়েছে মাত্র চারজন।
এদিকে, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান (বিদ্রোহী প্রার্থী) আবদুল খালেক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, আমার কর্মীরা সন্ত্রাসী নয়। আমার শপথের পর দিন থেকে ইলিয়াস কবীর বকুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার কর্মী আনারস মার্কার সমর্থক ও নব নির্বাচিত ২ জন মেম্বর কামরুল হাসান ও কামরুল হোসেনকে তারা শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার এক কর্মীকে তারা হত্যা করেছে । তাছাড়া আমার শপথ গ্রহনের পর আমার কর্মী মিষ্টি মুখ করার সময় ইলিয়াস কবীর বকুলের ভাই নাজমুল এলোপাতাড়ি গুলি চালায় আমার কর্মীদের উপর। এ সময় আহত হয় ৪ যুবক। বকুলের ভাই গুলি করে আমারই ২৬ জন নেতা কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে ।
পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের অভিযোগ, সম্প্রতি সস্ত্রাসীরা বাগআঁচড়া বাজারে আওয়ামীলীগ অফিসেও বোমা হামলা, গুলি ও ভাংচুর করেছে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সমর্থকরা। এতে নবনির্বাচিত মেম্বরসহ অন্তত ৪জন আহত হন। গত ২৮ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বেপরোয়া হয়েছেন। তাছাড়া সে (আ: খালেক) শপথ নেয়ার পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরসহ বাগআঁচড়া বাজারে একাধিক স্থানে হাত বোমা নিক্ষেপ করেন তার বাহিনী। এ সময় আওয়ামীলীগ অফিসে পরাজিত চেয়ারম্যান ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস কবীর বকুল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। ভয়ে আতংকে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। বাগআঁচড়ায় এ সব নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখতে এবং জানতে যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন সংঘটিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন , বাগআঁচড়া বাজারে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় দুটি পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে কিছু বিছুন্ন ঘটনা ঘটতে পারে অভিযোগ আসলেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এলাকা থেকে বোমা হামলার আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-ডিকে/সবুজ/আইআর

Leave A Reply

Your email address will not be published.