Take a fresh look at your lifestyle.

শনি-মঙ্গলবার চৌগাছার গ্রামে গ্রামে করোনা টিকাদান

0

প্রতিবেদক:
যশোরের চৌগাছাকে দ্রুত শতভাগ টিকার আওতায় আনতে এবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে কোন কার্ড না থাকা ব্যক্তিদেরও টিকা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৮ বছরের উর্দ্ধের যে কেউ টিকা নিতে পারবেন। সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টিকা কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি যাদের জন্মনিবন্ধন কার্ডও নেই এমন ১৮ বছর বয়সী নারী বা পুরুষ টিকা কেন্দ্রে আসলে তাদেরও টিকা দেয়া হবে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগামী শনিবার উপজেলার হাকিমপুর এবং পরের মঙ্গলবার নারায়নপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গিয়ে টিকা দেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার ।
ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন, টিকা নেয়ার হার আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম ডোজের থেকে খরাপ অবস্থা ২য় ও বুস্টার ডোজের। বারবার ক্ষুদেবার্তা দেয়া হলেও কাঙ্খিত হারে টিকা নিতে আসছেন না মানুষ। এ কারনে আজ থেকে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার একটি করে ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গিয়ে টিকা দেয়া হবে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের এক নম্বর ওয়ার্ডে নগরবর্ণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুই নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণি দাখিল মাদরাসা, তিন নম্বর ওয়ার্ডে পুড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চার নম্বর ওয়ার্ডে মাকাপুর (বল্লভপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুখপুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ণি-রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছয় নম্বর ওয়ার্ডে রাজাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাত নম্বর ওয়ার্ডে আন্দুলিয়া দাখিল মাদরাসা ও আন্দুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আট নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডে আড়সিংড়ি পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইন্দ্রপুর মাদরাসায় করোনার টিকা দেয়া হবে। গ্রামে গ্রামে টিকা দেয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
রোববার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য, সকল মসজিদের ইমাম এবং বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদরাসার প্রধানদের সাথে আলোচনা করে মসজিদের মাইক ছাড়াও স্থানীয় মাইক এবং সবার মাধ্যমে ঘরে ঘরে প্রচারণার ব্যবস্থা করেছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন, টিকাদানে জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণির যত বেশি সম্ভব মানুষকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আমরা গ্রামে চার শ্রেণির মানুষকে টিকা দেব। যারা নিবন্ধন করেছেন। যারা নিবন্ধন করেননি তবে জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই জন্মনিবন্ধন সনদ আছে এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদও নেই। তিনি বলেন, অর্থাৎ ১৮ বছরের উর্দ্ধের যে কোন ব্যক্তি টিকাকেন্দ্রে গেলেই করোনার টিকা পাবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.