শীতে গুড় খেলে দূরে থাকবে ১০ রোগ
সংবাদকক্ষ :
দেখতে দেখতে শীত বিদায় নেয়ার সময় হয়ে এসেছে। কিন্তু শীতের আমেজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো ঘরে ঘরে চলছে পিঠা-পুলির উৎসব। আর পিঠা, পায়েস খাঁটি খেজুরের গুড় ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। খেজুরের গুড়ের তৈরি মজাদার পিঠা-পুলি শীতের আনন্দ আরো দিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ভালো। অনেকেই শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত গুড় খান। গুড়ে থাকে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সংক্রমণ দূরে রাখে। তাছাড়া গুড় সাধারণ যেকোনো অসুখ থেকে রক্ষা করতে শরীরকে শক্তি জোগায়।
তবে খেজুরের গুড় যদি খাঁটি না হয়, তবেই বিপদ। সাধারণত খেজুরের রস জ্বাল দেওয়ার সময় চিনি মেশানো হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই গুড় হয় সুস্বাদু ও মিষ্টি। কিন্তু অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক চিন্তা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি লোভ খেজুরের ভেজাল গুড় তৈরির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে এবং রং উজ্জ্বল করতে খেজুর গুড়ে চিনি, ফিটকিরি ও রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই শারীরিক উপকারিতা পেতে হলে ভেজাল এড়িয়ে অবশ্যই খাটি গুড় খেতে হবে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক শীতকালে গুড় খাওয়ার উপকারিতাগুলো-
>> ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে গুড়।
>> গুড় তাপ উৎপাদন করে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে।
>> গুড়ে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।
>> গুড় রক্ত পরিষ্কার করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আর অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে।
>> গুড় শরীর থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস ও খাদ্যনালি সুস্থ রাখে।
>> শীতে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। গুড় খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
>> গুড়ে থাকে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সংক্রমণ দূরে রাখে।
>> সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠান্ডা কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
>> কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা দূর করতে সাহায্য করে গুড়। এছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন-কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।