Take a fresh look at your lifestyle.

এক মৌজার ৫২ আপিল কেসের শুনানি হবে কবে?

ফাইল চালাচালির ২৫ বছর

0

প্রতিবেদক:
ফাইল চালাচালির ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও সম্পন্ন হয়নি যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের এক মৌজার ৫২ টি আপিল কেসের শুনানি। কবে নাগাদ শুনানির অনিশ্চয়তা কাটবে, সেটিও পরিস্কার নয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে নিঃস্ব হতে চলেছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ডুমুরখালী মৌজার ভুক্তভোগী ৯শ’ পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেও সমাধান হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না এবং বিভিন্ন অজুহাতে বিচার প্রক্রিয়া নিস্পত্তি না করে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ মানছেন না। এখানে জাল বিস্তার করে আছে সেই অদৃশ্য শক্তি। ডুমুরখালী মৌজার মাঠ জরিপ সম্পন্ন হয় ৯০ দশকের শেষের দিকে। ওই সময় ৫৪৫ নং খতিয়ানভুক্ত বাটা ৫৩-২৫৬৯ দাগে ৯ একর ৯২ শতক জমি ইউনুস আলী গং এর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। যার হাল দাগ নং ৪৫, ২৮, ২৬, ৪৬, ৩০, ২৯, ২৭, ৩১ ও ৪৪। পরবর্তীতে ভূমি জরীপের ৩১ ধারা মতে ওই জমির ওপর দায়ের হয় আপিল কেস। তৎকালীন আপিল অফিসার ওই মৌজায় দাখিলকৃত ৫২ টি কেস এক সাথে শুনানি করেন। ২০১৪ সালে ২৮ মে আপিল অফিসারের এক রায়ে ইউনুস আলী গং এসএ রেকর্ডীয় প্রজা সুফিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৩,০৭,৬৮ সালে ৮৯৭৬ নং দলিলমূলে সত্ত্ব অর্জন করে নাম পত্তন ও খাজনা পরিশোধ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। যা পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হয়েছে। একই সাথে দুর্নীতি জায়েজ করতে গায়েব করা হয় ডুমুরখালী মৌজার মাঠ জরিপের খসড়া বই।
এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর ২০১৮ সালে ১৭ সেপ্টম্বর উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুজিবুল হক স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, ডুমুরতলা মৌজার ১৭০৫২১/১২ নং আপিল কেসসহ মোট ৫২ টি আপিল কেসের নথি পরিচালক (ভূমি রেকর্ড) কর্তৃক পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মূল খসড়া হারিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে একটি খসড়া তৈরি করা হলেও দখলদারের নাম নেই। এমতাবস্থায় সরেজমিনে মিলিয়ে একটি খসড়া বই প্রস্তত এবং খসড়া বইটি হারিয়ে যাওয়া উদ্দ্যেমূলক কিনা তা তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী নাম, পদবী ও বর্তমান কর্মস্থল উল্লেখ পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
যার স্মারক নং-৩১.০৩.২৬৯২.০০৩.১৪.০০৯.১৭-৮৩৫। এ্রই মধ্যে প্রায় ৫ বছর গড়িয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশনা আলোর মুখ দেখেনি। বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নান প্রশ্ন। ইউনুস আলীর দাবি অসৎ উদ্দেশ্যে ওই খসড়া বই গায়েব করা হয়েছে। এর সাথে রাঘব বোয়ালরা জড়িত। আর পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন অদৃশ্য এক শক্তি। যার কারণে শেষ হয়েও শেষ হচ্ছেনা ৫২ আপিল মামলার শুনানি।
এ বিষয়ে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফ বলেন, আমি ২০২০ সালে যোগদান করেছি। ১৮ সালের খবর জানা নেই। তবে মামলাগুলো নিস্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শুনানি হয়েছে ২৪৩/২০ নম্বর কেসটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.