Take a fresh look at your lifestyle.

বান্দরবানে অস্ত্রধারীদের গুলিতে সেনা সদস্য নিহত

0

সংবাদ কক্ষ:
বুধবার রাতে বান্দরবানের রুমায় অস্ত্রধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান।তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পটুয়াখালীর জেলা শহর সংলগ্ন বহালগাছিয়া গ্রামের বাড়িতে নিজ হাতে গড়া বাসভবন ‘সেনা নিকেতন’ পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে। কথা ছিল সেনাবাহিনীর চাকরি শেষে পটুয়াখালীতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জীবনের বাকি কাটাবেন। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না।
হাবিবুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে। তবে তিনি পটুয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বহালগাছিয়ায় বাড়ি করেছিলেন। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে কবরে শায়িত হবেন সেনা সদস্য হাবিবুর রহমান।

আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা টহল দল রাত ১০টায় সেখানে যায়। সেখানে পলায়নপর সন্ত্রাসীদের এলোপাতারি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। এসময় আরও এক সেনাবাহিনীর সৈনিক আহত হন। মারা যান তিন সন্ত্রাসী।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিতে খুব বেশি দেরি ছিল না। এক বছরের কিছু বেশি সময় চাকরির মেয়াদ ছিল। চাকরি শেষ করে পটুয়াখালী শহরেই পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করার পরিকল্পনা ছিল সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের। তবে তার সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেলো।
নিহত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, আব্বার সঙ্গে সবসময় কথা বলতে পারতাম না। তিনি যখন ফোন করতেন তখনই কথা বলতে পারতাম। পাহাড়ি এলাকা বলে মোবাইলে নেটওয়ার্ক সমস্যা ছিল। রাতে আব্বার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনো ভুল করলে ক্ষমা করে দিও, একটা অভিযানে যাচ্ছি। এরপর আজ সকালে শুনি আব্বা আর বেঁচে নেই।
হাসিবুর আরও জানান, তার বাবাকে এ বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই আলম জানান চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে ভাইয়ের মরদেহ পটুয়াখালীতে নিয়ে আসা হবে। সেনা সদস্য হাবিবুর রহমানের মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলে হাসান সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কক্সবাজারে কর্মরত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.