Take a fresh look at your lifestyle.

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন একুশে পদকে ভূষিত

0

প্রতিবেদক :
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক ২০২২-এ ভূষিত হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের আরও ২৩ গুণীজনকে এ বছর একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বুধবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশে জিনোম ও মাইক্রোবায়োম গবেষণা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম পথপ্রদর্শক। করোনা অতিমারীর শুরুতে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং তার দল করোনা পরীক্ষা, গবেষণা ও করোনার বিভিন্ন ধরনের রহস্য উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ক্ষুরা রোগ (ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ), ওলন পাকা (ম্যাসটাইটিস), আর্সেনিক বায়ো-রিমিডেশন এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স গবেষণায় অনস্বীকার্য অবদান রেখে চলেছেন। তার গবেষণা ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি মিলেছে এবং বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা তার প্রকাশিত গবেষণাপত্র উদ্ধৃতও করছেন। অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে এ পর্যন্ত ১৩০টিরও অধিক গবেষণাপত্র, আন্তর্জাতিক পরিসরে চারটি বুক চ্যাপ্টার, দেশ ও বিদেশে ১৫০টিরও অধিক সম্মেলনে সার-সংক্ষেপ প্রকাশিত হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ খোরশেদ আলম ও মাতা পিয়ারা বেগম। ড. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিস ফেরদৌসী ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. আনোয়ার হোসেন ও বিলকিস ফেরদৌসি দম্পতি দুই সন্তানের জনক-জননী।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন একুশে ভূষিত হওয়ায় তাকে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একইসঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও তাকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিননন্দন জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক গুণীজনকে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.