Take a fresh look at your lifestyle.

কেশবপুরে ২০ গ্রামবাসীর বন্যা আতংক

0

প্রতিবেদক :

যশোরের কেশবপুর সিএন্ডবির রাস্তা তৈরী করতে খোজাখালি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিল-বলধালি নদী পাড়ের ২০ গ্রামের মানুষের মাঝে বন্যা আতংক বিরাজ করছে।

কেশবপুর পৌরসভার হরিহর নদীর হাবিবগঞ্জ ব্রীজের মাথা থেকে বলধালী বলি পর্যন্ত শাখা নদীর নাম খোজাখালি নদী। যার প্রশস্ত ৫০ ফিট ও দুরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। কেশবপুর প্রেসক্লাবের পার্শে খোজাখালি নদীর উপর ব্রীজ হতে ভবানীপুর স্লুইস গেট পর্যন্ত দুই পাড়ে প্রায় দুই শতাধিক কৃষক পরিবারের বসবাস এবং বলধালী বিলের পাড়ে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার হাবাসপোল, ভবানিপুর, মধ্যকুল, মূলগ্রাম, নতুনমূলগ্রাম, কোমরপোল, চালুয়াহাটি, আটঘোরা, গৌরীপুুর, রতনদিয়াসহ প্রায় ২০ টি গ্রাম। এই গ্রাম সমুহের বিলসমুহ ও বলধালী বিলের পানি ভবানীপুর স্লুইস গেট হয়ে খোজাখালি নদী দিয়ে হরিহর নদীতে পড়ে থেকে।

যশোর-চুকনগর ভাইয়া কেশবপুর সড়কটি টু-লেনের সড়ক তৈরী করতে ও কচুরীপনায় ভরে যেয়ে কেশবপুর প্রেসক্লাব হতে ভবানীপুর স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খোজাখালি নদী প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। তাছাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ব্রীজের মাথা হতে খোজাখালি নদীর পশ্চিম পাড়ে বসতি ঘরবাড়ি তৈরি করার সময়ে নদীর চর দখল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে নদীটি প্রায় ভরাট হয়ে ছোট হয়ে গেছে। কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দপ্তর সুত্রে জানাগেছে, রাস্তাটি প্রসস্ত করতে ২০২১ সালে জমি অধিগ্রহন করতে ২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও জমি অধিগ্রহণ না করে নদী ভরাট করে সিএন্ডবি রাস্তা তৈরী করা হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ বাবলু কর, দিপংকর কর, পাখি সাহা, মৃত রজব আলী মাষ্টারের সন্তানদের বাড়ি ঘর তৈরী করতে নদীর চর দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে খোজাখালি নদীর পূর্ব পাড়ে সিএন্ডবি রাস্তার পার্শের বাসিন্দারা যেমন মিল মালিক রুহুল আমিন, শহিদুল্লা, সাধন সাহা, কালিপদ সাহারা সিএন্ডবি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশে রাস্তা পশ্চিম দিকে সরায়ে খোজাখালি নদী ভরাট করে সিএন্ডবির রাস্তাটি টু-লেন তৈরী করতে নদী দখল করে ভরাট করে সিএন্ডবি রাস্তা প্রসস্ত করা হয়েছে।

নদীর চার দখল করে বাড়ি ঘর তৈরী ও সিএন্ডবির রাস্তা তৈরী করতে যেয়ে খোজাখালি নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বলধালী বিলের পানি সুষ্ঠ নিষ্কাশনে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে। যার কারণে বলধালী বিল পাড়ের ২০ গ্রামবাসীর মাঝে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা আতংক বিরাজ করছে। সুষ্ঠ পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীটি এই মুহূর্তে খনন করা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর অভিমত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.