বাঘারপাড়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ
প্রতিনিধি, বাঘারপাড়া :
যশোরের বাঘারপাড়ায় আদালতের আদেশ ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে জমি দখল ও পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। বিরোধপূর্ণ এ জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। স্থানীয় এক ভূমিদস্যু বাহিনীর সহায়তায় জোর করে জমি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দর্গাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলা সূত্রে জানা যায়, দর্গাহপুর গ্রামে বাড়ির সীমানার জমি নিয়ে মুস্তাক হোসেনের সাথে প্রতিবেশী মঞ্জুরা খাতুন ও তার পিতা আব্দুল আলিমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
কয়েকদিন আগে এই বিরোধপূর্ণ সীমানার জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রস্তুতি নেয় মঞ্জুরা খাতুন। এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ৩০ মার্চ তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন মুস্তাক হোসেন। এদিন মামলার পর ওই বিরোধপূর্ণ জমির ওপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে আদেশটি বাঘারপাড়া থানায় পাঠান। আদালতের আদেশপত্রে আগামী ২৪ জুলাই উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। আদালতের আদেশমুলে ৩১ মার্চ বাঘারপাড়া থানার এএসআই সোহেল রানা বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ ১৪৪ ধারা পুলিশ জারি করলেও আদালতের উল্লেখিত আদেশের পরদিনই শুক্রবার সকাল থেকে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন মঞ্জুরা খাতুন ও আব্দুল আলিম।
মামলার বাদী মুস্তাক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘মোটা অংকের টাকা খাইয়ে মঞ্জুরা স্থানীয় এক ভূমিদস্যু বাহিনীর সহায়তার পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। পুলিশ আসার আগেই প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী এ প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আদালতের আদেশ উপেক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মঞ্জুরা খাতুন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার এএসআই সোহেল রানা মুঠোফোনে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, কি ব্যবস্থা নিয়েছি আপনি খোঁজ নেন জানতে পারবেন। থানায় আসেন সরাসরি কথা হবে।’