Take a fresh look at your lifestyle.

জন্মদিনে স্মরণঃ হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন

0

বাবলু ভট্টাচার্য :

রূপকথার জগতে এক অনবদ্য নাম হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেন। তিনি কিন্তু কোনো রূপকথার গল্পের চরিত্র নন, বরং তোমাদের অনেক প্রিয় চরিত্র আর প্রিয় গল্পের লেখক।

রূপকথার জগতে এক অনবদ্য নাম হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেন। তিনি কিন্তু কোনো রূপকথার গল্পের চরিত্র নন, বরং তোমাদের অনেক প্রিয় চরিত্র আর প্রিয় গল্পের লেখক।

কদাকার হাঁসছানার গল্পটা পড়েছ তো? ওই যে, যে হাঁসটা দেখতে খুবই খারাপ ছিল আর তার বাকি ভাইবোনগুলো ছিল অনেক সুন্দর। আর সেজন্য তাকে ওরা কেউ মোটেই পছন্দ করত না। হাঁসটার মা পর্যন্ত ওকে আদর করত না। শেষে কী হয়েছিল মনে আছে? শেষে ওই হাঁসটা হয়ে গিয়েছিল একটা অনেক সুন্দর দেখতে রাজহাঁস।

এই কদাকার হাঁসছানার দারুণ গল্পটা অ্যান্ডারসেনের লেখা। এরকম আরো অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প লিখেছেন তিনি।

অসামান্য প্রতিভাধর এই লেখক ছোটবেলায় দরিদ্র শিশুদের স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন। নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে কাজও করতে হয়েছে তাকে।

১৪ বছর বয়সে অভিনেতা হিসেবে কাজ খুঁজতে কোপেনহেগেনে পাড়ি জমান তিনি। এরপর রয়াল ড্যানিশ থিয়েটারে যোগদান করেন। সেখানেই তাকে একজন বলেন যে তার কাছে মনে হয় হ্যান্স ভালো কবি হতে পারবেন। তখন থেকেই লেখালেখির দিকে ঝুঁকে পড়েন হ্যান্স।

এরপর রয়াল ড্যানিশ থিয়েটারের পরিচালক জোনাস কলিন্স অ্যান্ডারসেনের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে একটি গ্রামার স্কুলে পড়তে পাঠান। রাজা ষষ্ঠ ফ্রেডেরিককে অনুরোধ করেন তার পড়ার খরচ দেওয়ার জন্য। ১৮২৭ সাল পর্যন্ত এলসিনোরের একটি স্কুলে পড়েছেন হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেন।

১৮২২ সালে হ্যান্সের প্রথম গল্প ‘দ্য গোস্ট অ্যাট প্যালনাটক’স গ্রেভ’ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তিনি উপন্যাস ও রূপকথা লিখতে থাকেন ও সেগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি তিনি অনেক কবিতাও লিখেছেন।

অ্যান্ডারসেনের লেখা রূপকথাগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এগুলো শুধু শিশুদেরই প্রিয় নয়, বড়রাও সমানভাবে এই লেখাগুলো উপভোগ করেন। তার লেখা রূপকথাগুলোর মধ্যে আছে ‘দ্য প্রিন্সেস অ্যান্ড দ্য পি’ (রাজকন্যা ও মটরশুঁটি দানা), ‘দ্য অ্যাম্পেরর’স নিউ ক্লোথস’ (রাজার নতুন পোশাক), ‘দ্য লিটল মারমেইড’ (ছোট্ট মৎস্যকন্যা), ‘দ্য স্নো কুইন’ (তুষার রানি) ইত্যাদি।

পরবর্তীতে তার লেখার অনুকরণ করে অনেক রূপকথা লিখেছেন আরো অনেক লেখক। তার রূপকথার গল্পগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রও। শুধু তাই নয়, অ্যান্ডারসেনকে নিয়েও চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে।

১৮৭৫ সালের ৪ আগস্ট হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন ডেনমার্কের কোপেনহেগানে মৃত্যুবরণ করেন।

বর্তমানে হ্যান্সের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জন্মদিনটি পালিত হয় ‘শিশুতোষ বই দিবস’ হিসেবে।

হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন ১৮০৫ সালের আজকের দিনে (২ এপ্রিল) ডেনমার্কের ওডেন্সে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

Leave A Reply

Your email address will not be published.