নিখোঁজের দু’দিন পর যশোর পঙ্গু হাসপাতালের বেজমেন্টে ব্যবসায়ীর লাশ!
প্রতিবেদক
যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে নিখোঁজের দু’দিন পর ঐ হাসপাতাল থেকেই এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান শেখের (৬৫) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ পঙ্গু হাসপাতালের ম্যানেজারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শহরের মুজিব সড়কের পঙ্গু হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার ছেলে শেখ সোয়েব উদ্দীন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে ব্যবসায়ীর সন্ধানে শনিবার দুপুরে হাসপাতালে তল্লাশিকালে লিফটের নিচে বেজমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মফিজুর রহমানকে হত্যার পর লাশ লিফটের তালা খুলে বেজমেন্টে ফেলে রাখা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ পঙ্গু হাসপাতালের ম্যানেজার আতিয়ার রহমান, লিফ্টম্যান জাহিদ গাজী ও আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এর আগে মফিজুর রহমান নিখোঁজের ঘটনায় ছেলে শেখ সোয়েব উদ্দীন জিডিতে উল্লেখ করেন, তার দাদি আছিয়া বেগম (৯০) পঙ্গু হাসপাতালের সপ্তম তলায় ভর্তি আছেন। গত ৩১ মার্চ তার পিতা মফিজুর রহমান পঙ্গু হাসপাতালে যান। তিনি দাদির কাছে তার পিতাকে বসিয়ে রেখে নিচে যান প্রয়োজনীয় কাজে। কিছু সময় পর তার পিতা ঐ রুম থেকে বের হন। এরপর দুপুর ২টার দিকে তিনি গিয়ে দেখেন তার পিতা সেখানে নেই। অনেক সময় পার হলেও তার দেখা মেলেনি। তিনি তার পিতার মোবাইল নম্বরে কল করেন। কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি। পরে রাতে ফোন বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে পিতার খোঁজে তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহত মফিজুর রহমানের শ্যালকের ছেলে শেখ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নিখোঁজের পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। তার ফুপার সন্ধানে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। বরং বলছে, নিখোঁজের একদিন আগে থেকে তাদের হাসপাতালের সিসিটিভি’র হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেছে। নিহতের স্বজনরা হত্যাকাণ্ডের পেছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ করছেন।
এ প্রসঙ্গে পঙ্গু হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ঐ ব্যক্তি কিভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আর পুরো ঘটনাটি প্রশাসনের তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে সব কিছু জানা যাবে।