Take a fresh look at your lifestyle.

‘ক্লান্তি’তে বড় পরাজয় যশোরের!

জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ

0

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু, পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু। পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে যশোর জেলা দলের খেলোয়াড়রা মনে মনে বরীন্দ্রনাথে এই কবিতা আওড়াছেন কিনা জানা যায়নি। তবে আওড়ালেও তাদের সেই মনবাসনা পূরণ করেননি প্রভু। আর এতে ৪০-তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের রাউন্ড যাওয়ার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে যশোর জেলা। বুধবার প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের নিজস্ব দ্বিতীয় ম্যাচে তারা রাজশাহীর ২৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৯ রানে গুটিয়ে যায়। ১৫৪ রানের হারে পরের রাউন্ডের যাওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ। যদিও এখনো এক ম্যাচ হাতে রয়েছে যশোরের।

পরের রাউন্ডের যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না যশোরের সামনে। গুরুত্বপূর্ন এই ম্যাচে দলের সাথে যুক্ত হয় অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান বাশার ও লাকাতুজ্জামান রুবেল। এই দুজনের সাথে প্রথম ম্যাচের একাদশের থেকে আরও দুটি পরিবর্তন করে টসে যায় দলীয় অধিনায়ক শমসের আলম হিরা। বাঁহাতি স্পিনার ইমন ফারাজীর বদলে দলে সুযোগ পায় আর এক বাঁহাতি মেহেদি হাসান শিবলি ও সিফাত ইসলাম মিম।

চৈত্রের খরতাপে দলের সাত খেলোয়াড় রোজা থাকাও সত্ত্বে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যশোরের টিম ম্যানেজমেন্ট। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে রাজশাহী। এতে প্রায় চারঘন্টা ফিল্ডিং করায় যশোরের খেলোয়াড়রা অতিমাত্রায় শারীরিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে যায়।

এই ক্লান্ত শরীরের ব্যাট করতে যেয়ে খুব বেশি ক্রিজে থাকতে পারেনি তারা। যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ২৫ ওভার ২ বলে অল আউট হওয়ার আগে ৯৯ রান করতে পারে। সিফাত মিম সর্বোচ্চ ১৯ রান করে। এছাড়া শিবলি ১৩, নিলয় রায় ও রুশাদ হোসেন ১২ রান করেন। রাজশাহীর বাকের হোসেন ৩টি, সুজন আলী, নাইমুল সুমন ও এমআর তুহিন ২টি করে উইকেট দখল করেন।

এর আগে রাজশাহী প্রথমে ব্যাট করে রমজান চৌধুরী ও এজাজের দুই অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৩ রান করে। এজাজ ৬৭ বলে ৭ চার ও দুই ছয়ে ৬১, রমজান ৪৫ বলে ৫৫ রান করেন। এরপাশে বিশাল চৌধুরী ৪২, তুহিন ৪০ রান করেন।
বল হাতে যশোরের মাসুম বিল্লাহ ৪৭ রানে ৩টি, সিফাত ২টি, হিরা, লাকাতুজ্জামান রুবেল ১টি করে উইকেট দখল করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.