Take a fresh look at your lifestyle.

এবারের ঈদে ঢাকা-যশোর ও যশোর-ঢাকা রুটে উড়োজাহাজের যাত্রীর হাম কম

অস্বাভাবিক টিকিটের দাম

0

প্রতিবেদক :

টিকিটের অস্বাভাবিক দামের কারণে ঢাকা-যশোর ও যশোর-ঢাকা রুটে উড়োজাহাজের যাত্রীর হার এবারের ঈদে কমেছে। মধ্যবিত্তরা বিমানে যাতায়াত তেকে বিরত থাকছেন। অন্যান্য বছরে এসময়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুেেলা অতিরিক্ত ৯টি ফ্লাইট চালু করলেও এবার কোন ফ্লাইট বাড়ায়নি কোম্পানিগুলো। আগে যেখানে ভাড়া সবোর্চ্চ নেয়া হতো ৭ হাজার ৪শ টাকা, সেখানে আসন্ন ঈদে নেয়া হচ্ছে ১০ হাজার ৮শ টাকা। এদিকে যাত্রীর হার কমে যাবার কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন ট্রাভেলস এজেন্সিগুলো। তারা বলছেন, আগে বড় এজেন্সিগুলো রোজার ঈদে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা টিকিট বিক্রি করতো, সেটা এখন নেমে এসেছে ২ লাখ টাকায়।

ট্রাভেলস এজেন্সি যশোরের সাধারণ সম্পাদক ও স্কাইজেট’র স্বত্তাধিকারী অরুণ মজুমদার জানান, জানান, ফ্লাইটের টিকিটের উচ্চমূল্যের কারণে যশোর ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রীর হার কমে গেছে অনেক। আগে যে টিকিটের মূল্য ছিল ৩২ টাকা, সবোর্চ্চ সাড়ে ৫ হাজারের মধ্যে ছিল। কিন্তু এবারের ঈদে নেয়া হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৮শ থেকে ১০ হাজার ৮শ। যেকারণে মধ্যবিত্তরা বিমানে যাতায়াত ছেড়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরা যাতায়াত করছেন। আর একারণে আমাদের আয় অনেক কমে গেছে। এতে যশোর-খুলনার প্রায় দেড়শ ট্রাভেলস এজেন্সি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। খুলনার ট্রাভেলস এজেন্সি ফাস্ট এয়ারপ্লানের মারিক উজ্জল বিশ্বাস জানান, বর্তমান সময়ে বিমানে অস্বাভাবিকহারে যাত্রী কমে গেছে। এতে সংকটে পড়তে হচ্ছে আমাদের।

১৯৪৬ সালে যশোর বিমান বন্দর গড়ে তোলা হয়। প্রথমে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট দিয়ে চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে বেসরকারি ২টি বিমানের ফ্লাইট রয়েছে এই বন্দরে।

যশোর বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে যশোর-ঢাকা রুটে বিমান ওঠানামা করে ২ হাজার ৮৩৪টি, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩ হাজার ৮০৮টি, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৯৮টি, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ২১২টি, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯৩২টি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ হাজার ১৫০টি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৭৬টি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ১৪টি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিমান চলাচল করেছে ৬ হাজার ৪৯০টি ফ্লাইট। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওই রুটে বিমান চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২১০টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭ হাজার ৫শ ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮শ, এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ হাজার ৫শ।

যশোর বিমান বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৬ সালে ২২৫ একর জমির উপর গড়ে তোলা হয় যশোর বিমান বন্দর। জমির রিজাভ আছে আরও ৬২ একর। চালু হবার পর বাংলাদেশ বিমানের প্রতি সপ্তাহে ২টি করে ফ্লাইট উঠানামা করত।

এখানে রয়েছে ২টি ভিআইপি রুম। যাতে মাত্র ১২ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। হোল্ডিং লাইঞ্জে বসার ব্যবস্থা রয়েছে প্রায় ৪০ জনের। অথচ যশোর বিমানবন্দর প্রতিদিন ব্যবহার করেন প্রায় ২ হাজার যাত্রী। তাদের আনা নেবার জন্য আসেন আরও শতাধিক মানুষ। বন্দরটি খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষ ব্যবহার করায় প্রতিদিন থাকে আিইপিদের চাপ। এতে বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ইউএস বাংলা এয়ার যশোরের কর্মকর্তা নাজমুল আহসান জানান, তেলের দাম বাড়ার কারণে টিকিটের দাম বেড়েছে। এবার ঈদে যশোর-ঢাকা ও ঢাকা-যশোর রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট এখনও বাড়ানো হয়নি। নভোএয়ারেরও বাড়েনি বলে জানান, রুহান নামে এক কর্মকর্তা।

এব্যাপারে যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, সড়ক পথে যেতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা সময় লাগে। যেকারণে বিমানে যাত্রীর হার গত ২ বছর আগেও বেড়ে ছিল। কিন্তু করোনার কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা বিপর্যস্ত, আবার টিকিটের উচ্চমূল্যে যাত্রীর হার কমে গেছে।

নভোএয়ারের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলাম বলেন, ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যশোর রুটে টিকিটের চাহিদা বেশি। উচ্চবৃত্তরা বেশি টিকিট সংগ্রহ করছেণ্ ঈদের আগে ও পরে যশোর থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে চাপ রয়েছে। ঈদের পর যারা ঘুরতে যাবেন তারা আগে থেকেই কক্সবাজারের ফিরতি টিকিটও কেটে রেখেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.