Take a fresh look at your lifestyle.

ঈদের আগেই ঈদের খুশি সুখচাঁনদের

0

প্রতিবেদক :

যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা সুখচাঁনের। বয়স পঞ্চাশ ছুই ছুই। তার দুই ছেলের মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক, আরেক ছেলে বাসের হেলপার। আলাদা থাকা ছেলেরা নিজের সংসার চালাতেই যেখানে হিমশিম খান, সেখানে বয়সের ভারে সুখচাঁন ছেলেদের সংসারে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে কোন প্রকার দেখভাল করে না ছেলেরা।

চার মাস আগে থেকে বয়স্কভাতা প্রাপ্তিতে তালিকাভুক্ত হন সুখচাঁন। প্রতিমাসের প্রাপ্ত ভাতা দিয়েই এখন কোন রকমে দিন কেটে যায় তার। জীবনের এমন প্রতিকূলতার মধ্যে যশোর টাউন হল ময়দানে ঈদের আগে নতুন শাড়ি পেয়ে আবেগে আপ্লতু হয়ে পড়েন সুখচাঁন। শুধু নতুন শাড়িই না; পেয়েছেন চাল, ডাল সেমাই চিনিসহ ৭ প্রকার ঈদ সামগ্রী। তিনি বলেন, স্বামী মারা গেছে ৮ বছর হলো। দুই ছেলে আর এক মেয়ে আছে। মেয়ে থাকে শুশ্বর বাড়ি। আর দুই ছেলেদের নিয়ে থাকি স্টেশনের সরকারি জমিতে। ছেলেরা থাকলেও তাদের সংসার নিয়ে তারা ব্যস্ত। সেখানে আমাকে দেখবে কি করে। গতঈদে একটা শাড়ি পাইছিলাম, সেই শাড়ি এখনো পড়ি। আজ কাউন্সিলর সুমন বাবাজি শাড়ি আর সেমাই চিনি দিয়েছে খুব খুশি লাগছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে শহরের ২ হাজার অসহায় দরিদ্র নারী পুরুষদের ঈদ উপহার বিতরণ করেছে যশোর পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগেনেতা আলমগীর কবির সুমন। শাড়ি-লুঙ্গি তেল সাবান সেমাই চিনি পাওয়া সুখচাঁনদের মতো দুই হাজার মানুষের ঈদের আগেই ঈদের খুশি চোখে পড়েছে।

রেলগেটের হতদরিদ্র বাচ্চু মিয়া (৭০) লাঠিতে ভর করে ঈদ উপহার নিতে এদিন দুপুর থেকে অপেক্ষা করছিলেন। ঈদ উপহার পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ঈদ শুরু হয়ে গেছে। টাউন হল ময়দানের প্রবেশদ্বারে অসুস্থ পঙ্গু স্বামী আলেক মিয়াকে ভ্যানে রেখে নিজে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ষাটোর্ধ জুলেকা বেগমকেও। তিনি যশোর শহরে ভিক্ষা করেন। বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায়। প্রথমে ঈদ উপহার গ্রহনের স্লিপ না পেলেও পরে কাউন্সিল সুমনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা স্বামী আলেক ও জুলেকাকে দুটি স্লিপ দেন। স্লিপ জমা দিলেই স্বামীকে একটি লুঙ্গির সাথে চাল ডাল সেমাইয়ের প্যাকেটও দিল। সাথে নিজের টাও নিলেন জুলেকা। খুশি হয়ে দোয়া করেন হাজী সুমনের জন্য। নিজ হাতে শহরের দুই হাজার এসকল দরিদ্রদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন যশোর পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগেনেতা আলমগীর কবির সুমন। তিনি বলেন, মানবিক কর্মকান্ডের উদাহরণ যুবলীগ। এদেশে অসহায়দের সহায় হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যত দুর্যোগই আসুক না কেন, তিনি অসহায়দের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। মানবিক যুবলীগের মানবিকতা কাজের অংশ হিসাবে আর কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনায় আজ আমি শহরের দুই হাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আজ এই শহরের সামর্থ্যবান লোকেরা যদি এসকল মানুষের পাশে দাঁড়ায় তা হলে এরা উপকৃত হবে। একই সাথে সমাজ থেকে দূর হবে ভিক্ষুক ও দারিদ্রমুক্ত। বাস্তবায়ন হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সহ প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম টপি, প্রেস ক্লাব যশোরের সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক বোস, আওয়ামী লীগনেতা নুর ইসলাম, ইয়াকুব খান প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.