Take a fresh look at your lifestyle.

জন্মদিনে স্মরণঃ শেখ নিয়ামত আলী

0

বাবলু ভট্টাচার্য :

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রাতঃস্মরণীয় নাম শেখ নিয়ামত আলী। তিনি প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। এদেশের সুস্থধারার চলচ্চিত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়।

শেখ নিয়ামত আলী একাধারে চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৭৭ সালে শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের শ্যুটিং শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি ঔপন্যাসিক আবু ইসহাক রচিত সূর্য দীঘল বাড়ী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র।

চলচ্চিত্রটি জার্মানির মানহাইম- হাইডেলবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং পর্তুগালের ফিগুএরা দা ফোজ চলচ্চিত্র উৎসবসহ পাঁচটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করে।

এছাড়াও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আটটি বিভাগে ও বাচসাস পুরস্কারের ছয়টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।

১৯৮৫ সালে তার নিজের প্রযোজনা সংস্থা এস নিয়ামত আলী প্রডাকশন্স থেকে নির্মাণ করেন দ্বিতীয় কাহিনীচিত্র ‘দহন’। এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তিনটি বিভাগে ও বাচসাস পুরস্কারের দশটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।

১৯৯৫ সালে আবার তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে নির্মাণ করেন ‘অন্য জীবন’। এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এগারটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি ‘জন পরিবহন’ নামক একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এছাড়া তিনি টেলিভিশনের জন্য নাটকও নির্মাণ করেছেন।

শেখ নিয়ামত আলী ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।

শেখ নিয়ামত আলী ১৯৪০ সালের আজকের দিনে (৩০ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

Leave A Reply

Your email address will not be published.