Take a fresh look at your lifestyle.

মাহে রমজান

0

বিল্লাল বিন কাশেম :
৩০ রোজার ফজিলত: পবিত্র রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসের কিতাবগুলোতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এর ভেতর থেকে কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো : প্রিয় নবীজি (সা.) এর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)
অপর হাদিসে এসেছে, হযরত শাহ্ ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) এরশাদ করেছেন, বেহেশতের ৮টি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ১টি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)
১ম রমজানে : রোজাদারকে নবজাতকের মতো নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।
২য় রমজানে : রোজাদারের মা-বাবাকে মাফ করে দেওয়া হয়।
৩য় রমজানে : একজন ফেরেশতা আবারও রোজাদারের ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
৪র্থ রমজানে : রোজাদারকে আসমানী বড় বড় চার কিতাবের বর্ণ সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
৫ম রমজানে : মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সাওয়াব দেওয়া হয়।
৬ষ্ঠ রমজানে : ফেরেশতাদের সাথে ৭ম আকাশে অবস্থিত বাইতুল মামূর তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়।
৭ম রমজানে : ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আ. এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
৮ম রমজানে : রোজাদারের উপর হযরত ইবরাহীম আ. এর মতো রহমত বর্ষিত হয়।
৯ম রমজানে : নবী-রাসূলদের সাথে দাঁড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়।
১০ম রমজানে : রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যাণ দান করা হয়।
১১তম রমজানে : রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়।
১২তম রমজানে : হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমা চাদের মতো উজ্জল করা হবে।
১৩তম রমজানে: হাশরের ময়দানের সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে।
১৪তম রমজানে : হাশরের ময়দানে হিসাব- নিকাশ সহজ করা হবে।
১৫তম রমজানে : সমস্ত ফিরিস্তারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে।
১৬তম রমজানে : আল্লাহপাক রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন ।
১৭তম রমজানে : একদিনের জন্য নবীগনের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে।
১৮তম রমজানে : রোজাদার এবং তার মা-বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ দেওয়া হয়।
১৯তম রমজানে : পৃথিবীর সকল পাথর-কংকর টিলা- টংকর রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।
২০তম রমজানে : আল্লাহরপথে জীবন দানকারী শহীদের সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
২১তম রমজানে : রোজাদারের জন্য জান্নাতে একটি উজ্জল প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়।
২২তম রমজানে : হাশরের ময়দানের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত করা হয়।
২৩তম রমজানে : জান্নাতে রোজাদারের জন্য একটি শহর নির্মাণ করা হয়।
২৪তম রমজানে : রোজাদারের যেকোনো ২৪টি দোয়া কবুল করা হয়।
২৫তম রমজানে : কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২৬তম রমজানে : ৪০ বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
২৭তম রমজানে : চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দেওয়া হয়।
২৮তম রমজানে : জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুণ করা হয়।
২৯তম রমজানে : এক হাজার কবুল হজ্জের সাওয়াব প্রদান করা হয়।
৩০তম রমজানে : পুরা রমজানের ফজিলত দ্বিগুণ করা হয়।

লেখক : উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.