Take a fresh look at your lifestyle.

অধিনায়কত্ব গড় কমিয়েছে মুমিনুলের

0

সংবাদকক্ষ :

অনেক ক্রিকেটার আছেন অধিনায়কত্ব পেলে বেড়ে যায় খেলার ধার। গড়পড়তা ক্রিকেটার থেকে হয়ে যান দারুণ প্রভাব বিস্তারকারী। উল্টো ঘটনাও অহরহ। এমনিতে হয়ত পরীক্ষিত সৈনিক, কিন্তু অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ক্রমেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকেন তারা। মুমিনুল হককে আপাতত দ্বিতীয় দলে ধরতে হচ্ছে।

পরিসংখ্যান বলছে অধিনায়কত্ব প্রভাব ফেলেছে তার ব্যাটিংয়ে। কমে গেছে গড়। টানা রান খরায় প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে গেছেন টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক।

২০১৯ সালে ভারত সফরের আগে আচমকা নেতৃত্ব পান মুমিনুল। জুয়াড়ির তথ্য গোপন করে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার ঝড়ের সময়ে মুমিনুলকেই ভরসা হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির তখনকার সিদ্ধান্তটি এসেছিল অনেকটা চমক হিসেবে। কারণ কোন পর্যায়েই অধিনায়কত্বের তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না মুমিনুলের। তেমন কেউই তাকে আগামীর অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করেননি।

অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ৩৬ টেস্টে মুমিনুলের গড় ছিল ৪১.৪৭। এই সময়ে ৮ সেঞ্চুরি আর ১৩ ফিফটিতে তার রান ছিল ২ হাজার ৬১৩। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ১৭ টেস্টে মুমিনুলের গড় ৩১.৪৪। এই সময়ে ২ ফিফটি আর তিন সেঞ্চুরিতে করেছেন ৯১২ রান। এক সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গড় থাকা মুমিনুল ক্রমশ নিচে নামছেন। সব মিলিয়ে ৫৩ টেস্টে গড়টা এখন ৩৮.৩১। ১১ সেঞ্চুরি আর ১৫ ফিফটিতে রান ৩ হাজার ৫২৫।

স্পষ্টতই অধিনায়কত্ব প্রভাব ফেলেছে তার ব্যাটিংয়ে। গত ১৫ ইনিংসে ১২.৫৭ গড়ে মোটে ১৭৬ রান করেছেন মুমিনুল। ১২বার পেরুতে পারেননি এক অঙ্কের গণ্ডি।

এই অবস্থান অধিনায়কত্ব তো বটেই, মুমিনুলকে সাময়িক বিশ্রাম দেওয়া যায় কিনা এই আলাপ উঠছে। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস অবশ্য জানিয়েছেন, মুমিনুলের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় বসবেন তারা। শুনতে চাইবেন মুমিনুলের সিদ্ধান্ত। তিনি চাপ অনুভব করলে বিকল্প চিন্তায় যাবে দল। মুমিনুলের বিকেএসপির কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমও মনে করেন, নেতৃত্বের ভার সরিয়ে মুমিনুলকে মুক্তমনে খেলতে দেওয়া হোক।

দলের টালমাটাল সময়ে নেতৃত্বে পেয়ে সব কিছু সামলানো মুমিনুলের জন্য অবশ্য সহজ ছিল না। নেতৃত্বের পুরোটা সময়ই ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের তিনি একসঙ্গে পেয়েছেন কমই। নিউজিল্যান্ডে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অবদান ছাড়াই তার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসেই বড় জয় হিসেবে লেখা থাকবে তা। তবে শেষ পর্যন্ত ওই একটি জয় তার সাম্প্রতিক বিবর্ণ অবস্থা ঢেকে ফেলতে পারছে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.