Take a fresh look at your lifestyle.

জন্মদিনে স্মরণঃ লাকী আখন্দ

0

বাবলু ভট্টাচার্য :

মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করতে সক্ষম হন লাকী আকন্দ।

১৯৭৫ সালে লাকী আখান্দ তাঁর ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের একটি অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করেন। অ্যালবামটিতে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ও ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী আখন্দ, ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’ ও ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’ গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী ও লাকী দুজনে, এবং লাকী নিজে ‘নীল নীল শাড়ি পরে’ ও ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’ গানে কণ্ঠ দেন।

১৯৮০ সালে তিনি সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। নিজের প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। এই অ্যালবামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গান হল ‘আগে যদি জানতাম’, ‘আমায় ডেকোনা’, ‘মামুনিয়া’, ‘এই নীল মনিহার’, ও ‘হৃদয় আমার’। ছোট ভাই হ্যাপী আকন্দের সাথে ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’ ও ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’ গানে দ্বৈত কন্ঠ দেন ব্যান্ড দল ‘হ্যাপী টাচ’ এর সদ্স্য লাকী আকন্দ।

১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আকন্দ মারা যাওয়ার পর প্রায় একযুগ তিনি সঙ্গীতের বাইরে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজনের মাধ্যমে গানের ভুবনে ফিরে আসেন।

বিতৃষ্ণা জীবনে আমার অ্যালবামে সে সময়ের ছয়জন জনপ্রিয় গায়ক, মাহফুজ আনাম জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, ও সামিনা চৌধুরী কণ্ঠ দেন। একই বছর তিনি সামিনা চৌধুরীকে নিয়ে আনন্দ চোখ নামে একটি দ্বৈত অ্যালবাম প্রকাশ করেন।

গোলাম মোরশেদের গীতে এবং আখান্দের সঙ্গীতায়োজনে অ্যালবামটি প্রকাশ করে সাউন্ডটেক। এতে ১২টি গান ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান ছিল ‘কাল কি যে দিন ছিল’, ‘বলো কে পারে’ ও ‘এই বরষা রাতে’। পরের বছর আখান্দ সামিনা চৌধুরীর একক অ্যালবাম আমায় ডেকোনার সঙ্গীতায়োজন করেন।

এছাড়া তিনি ব্যান্ডদল আর্কের ‘হৃদয়ের দুর্দিনে যাচ্ছে খরা’ গানের সুর করেন। ২০০০ সালের পর তিনি আরেকটি মিশ্র অ্যালবাম তোমার অরণ্যের সুর ও সঙ্গীতায়োজন করে। এতে লাকী আখান্দের কণ্ঠে গাওয়া ৩টি গানসহ বাপ্পা মজুমদার, ফাহমিদা নবী, ও নিপুর কণ্ঠে ১০টি গান ছিল। তিনি এই অ্যালবামে সমকালীন তাল, লোক গানের তাল ও তার প্রিয় স্পেনীয় গানের তাল ব্যবহার করেন।

দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লাকী আখন্দ ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

লাকী আখন্দ ১৯৫৬ সালের আজকের দিনে (৭ জুন) পুরনো ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

Leave A Reply

Your email address will not be published.