প্রেসক্লাবে গায়ে আগুন দেওয়া আনিস মারা গেছেন
সংবাদকক্ষ :
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিস (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আনিসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সকাল ৬টায় আনিসের মৃত্যু হয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরো জানান, আনিসের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। অবস্থা শঙ্কটপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
এর আগে, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে গাজী আনিস জাতীয় প্রেসক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। আশঙ্কাজনক দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পেরেছি তার নাম গাজী আনিস। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পানটি গ্রামে। কী কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রেসক্লাবে উপস্থিত থাকা মোহাম্মদ আলী নামে স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সাংবাদিক জানান, আজকে (সোমবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিনি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। তখন ঐ ব্যক্তিকে হঠাৎ নিজের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দিতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার কাছে গিয়ে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ৯৯৯-এ কল দেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবা মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। গাজী আনিস ৩ মেয়ের জনক। ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করতেন। ‘হ্যালোলাক্স’ নামে একটি কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পেতেন। এজন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। ঐ টাকা না পাওয়াতেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।