Take a fresh look at your lifestyle.

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধোনী হত্যাকাণ্ড!

হামলাকারী রায়হান শনাক্ত: পুলিশ, মানুয়া হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে: নিহতের শ্যালক

0

প্রতিবেদক :
স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। রায়হান নামে এক হামলাকারীকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে বলে পুলিশ মনে করছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিচিত লোকজনই তাকে কুপিয়ে খুন করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধোনী খুন হয়েছে, এটা নিহতের স্বজনরাও মনে করেন।

তবে হত্যায় পুলিশ জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ বিষয়ে র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। র‌্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্ত চলছে।

নিহতের শ্যালক তপু রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের একটি ফার্মেসিতে বসেছিলেন বদিউজ্জামান ধোনী। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী রায়হান, রহিম, আকাশসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

তার দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শামীম আহমেদ মানুয়া নামে একব্যক্তি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মানুয়াকে ধরতে পারলেই এই হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি মনে করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এলাকায় সজ্জন হিসেবে পরিচিত থাকলেও যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ সন্ত্রাসী বিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ধোনী। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ইয়াসিন আরাফাত। এই মামলায় মাসখানেক আগে ধোনী জেল থেকে বের হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে যে মানুয়ার সাথে ধোনীর বিরোধ ছিল, তিনি এই ইয়াসিন আরাফাতের শ্বশুর।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক রূপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.