প্রতিবেদক :
জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনী হত্যা প্রসঙ্গে র্যাব সংবাদমাধ্যমে একটি ব্রিফিং পাঠিয়েছে। এতে হত্যার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। জানানো হয় ঘটনার পরপরই র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী বেজপাড়ার মৃত রইছের ছেলে মো. আলামিনকে (২৮) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাকে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং-এ র্যাব জানায়, যশোর জেলার কোতয়ালী থানার বেজপাড়ায় পূর্বশত্রæতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১২ জুলাই যশোর শহরের নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনী। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্বজনদের দাবি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ঘটনার দিন সকালে শহরের আকবরের মোড়ে নিজ বাড়ির সামনের একটি ফার্মেসিতে বসেছিলেন বদিউজ্জামান ধোনী। এ সময় ১৫-১৬ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এ বিষয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় মামলা নং-৫৩, তাং-১৩/০৭/২০২২ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে। ঘটনার পরপরই র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ জুলাই রাত একটা ৫০ মিনিটে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, হত্যা মামলার আসামীরা যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বেজপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত ২টা ১০ মিনিটে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মো. আলামিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।